শেষ হাসি হাসল দক্ষিণ আফ্রিকা

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সুপার ওভারের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে সফরকারী শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। লেগ স্পিনার ইমরান তাহিরের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ হাসি হাসে দক্ষিণ আফ্রিকা।
১৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষ ওভারে পাঁচ রানের প্রয়োজন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ইসুরু উদানার সেই ওভারে পাঁচ রান সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিক দলটি। শেষ বলে রান আউটের সুযোগ হারায় শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচটি ড্র হয়, গড়ায় সুপার ওভারে। লাসিথ মালিঙ্গার বিপক্ষে ১৪ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডেভিড মিলার একটি ছয় একটি চার হাঁকান সেই ওভারে। ১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে তাহিরের ঘূর্ণিতে পাঁচ রান করতে সক্ষম হয় সফরকারী দলটি।
লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে পড়ে আফ্রিকান ব্যাটসম্যানরা। পাওয়ার প্লেতে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রান তুলতে ব্যর্থ হলে চাপে পড়ে দলটি, ফলাফল হিসেবে রান আউট হয়ে ফিরে যান রিজা হেনরিক্স। এরপর জুটি গড়ার চেষ্টায় থাকেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু বারবারই ব্যর্থ হন তারা।
২১ রানে ফেরেন ফাফ ডু প্লেসিস, ১৩ রান করেন কুইন্টন ডি কক। মিডেল অর্ডার দুই ব্যাটসম্যান ভ্যান ডার ডাসেন এবং অধিনায়ক মিলার মিলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন। ডাসেন ফিরেন ৩৪ রানে, একই ওভারে রানআউট হয়ে ফেরেন মিলারও। তিনি ফেরেন ৪১ রান করে।

শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরা কেউই ব্যাট হাতে দলের জন্য অবদান রাখতে না পারলে ১৩৪ রানে থামে আফ্রিকার ইনিংস। লাসিথ মালিঙ্গা দুর্দান্ত বোলিং করে মাত্র ১১ রান খরচায় দুটি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এদিন নিউল্যান্ডসে সিরিজের প্রথম খেলায় টসে হেরে ব্যাটিং পায় লঙ্কানরা। শূন্যরানেই ওপেনার নিরোশান ডিকওয়েলাকে হারায় দলটি। দলীয় সাত রানে শূন্য করে ফেরেন কুশল মেন্ডিসও।
ওপেনার আভিশকা ফার্নান্ডোর ১৯ রানে ফিরলে কামিন্ডু মেন্ডিস এসে দলের হাল ধরেন। ২৯ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর আর কোন ব্যাটসম্যান বড় অবদান রাখতে পারেনি।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ১৬, থিসারা পেরেরার ১৯, ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ১৪ এবং ইসুরু উদানার ১২ রানে ১৩৪ রানের সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনটি উইকেট নেন আন্ডাইল ফেহলুকেও।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
শ্রীলঙ্কাঃ ১৩৪/৭, ওভার- ২০
(মেন্ডিস ৪১, পেরেরা ১৯; ফেহলুকেও ৩/২৫)
দক্ষিণ আফ্রিকাঃ ১৩৪/৮, ওভার- ২০
(মিলার ৪১, ডাসেন ৩৪; মালিঙ্গা ২/১১)