আমরা ভাগ্যবান, ক্রাইস্টচার্চ হামলার পর পাইলট

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দল। শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে দল বেঁধে মসজিদের পথে যাওয়া বাংলাদেশ দলের সদস্যরা সন্ত্রাসী হামলা থেকে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে রক্ষা পেয়েছে।
দলের ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা সাবেক কাপ্তান খালেদ মাসুদ পাইলট সাংবাদিকদের ঘটনার বর্ণনায় বলেছেন,
'অ্যাকসিডেন্টটা তো দেখেছেন সবাই, আমরা কেউই আশা করি নাই এমন কিছু হবে। কোন দেশেই আমরা চাই না এই ধরনের অ্যাকসিডেন্ট হোক। আমরা ভাগ্যবান, বাসে অনেকেই ছিল।

'বেশ কয়েক জনই ছিল। সৌম্য সরকার বা যারা ছিল তাঁরা হয়তো নামাজ পড়তে যাচ্ছিলো না, দুই একজন হোটেলে ছিল। বাদ বাকি সবাই বাসে ছিল। আমরা খুবই কাছে ছিলাম। মসজিদ আমরা বাস থেকেই দেখতে পাচ্ছিলাম। আমরা হয়তো ৫০ গজ দূরে ছিলাম।
'আমি বলব আমরা খুবই লাকি, আর যদি তিন চার মিনিট আগে চলে আসতাম তাহলে আমরা মসজিদেই হয়তো থাকতাম। বিশাল বড় ম্যাসিভ একটা ঘটনা ঘটে গেল। আমরা খুবই লাকি ছিলাম। আমরা ভিডিও এর মতন দেখছি।
'পুরো মুভিতে যেমন দেখায়। বাস থেকেই দেখতে পাচ্ছিলাম আমরা মানুষ রক্তাক্ত অবস্থা বেরিয়ে আসছে। আমরা প্রায় ৮-১০ মিনিট বাসেই ছিলাম। সবাই মাথা নিচু করে ছিলাম যদি কোন কারণে ফায়ার হতে থাকে।'
বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা সন্ত্রাসী হামলা স্বচক্ষে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিল। বেশীরভাগ ক্রিকেটার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে বলে জানিয়েছেন পাইলট।
'এটা খুবই স্বাভাবিক। আপনার সামনে যখন এমন সন্ত্রাসী আক্রমণ হয়েছে এবং আপনি সেটা সরাসরি দেখেছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মানুষ বেরিয়ে আসছে। খুবই স্বাভাবিক যে কোন মানুষই ভেঙ্গে পড়ার কথা। ওই মুহূর্তে নিজের গায়ের ওপর যে আসবে না এটা কেউ জানত না।
'আমি প্লেয়ারদেরকে দেখেছি বাসের মধ্যে, অনেকেই কান্নাকাটি করছিল, কি করতে পারে, কিভাবে কি করলে এখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। এটা খুবই কঠিন। সবার ওপরেই মানসিক প্রভাব ফেলে। আমি ম্যানেজার হিসেবে প্লেয়ারদেরকে এখানে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলাম।'