কি হয়েছিলো ক্রাইস্টচার্চে?

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করতে যাওয়ার পর সন্ত্রাসী হামলায় ২৭ জন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ হেগলি পার্কে অবস্থিত সেই মসজিদটিতে নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররাও।
তবে তাঁরা নামাজ শেষে ফেরার পরেই তান্ডব শুরু হয় সেখানে। ব্র্যান্টন ট্যারান্ট নামের এক ঠান্ডা মাথার খুনি মসজিদটিতে অবস্থান নিয়ে নির্বিচারে গুলি চালায় মুসল্লিদের ওপরে। শুধু তাই নয়, নৃশংস এই ঘটনা সাড়ে ১৬ মিনিট ধরে লাইভ ভিডিও করে সে।

জানা গিয়েছে হামলা চালানোর আগে নিজের বাসা থেকে গাড়ি ভর্তি করে অস্ত্র নিয়ে এসেছিলো ট্যারান্ট। মসজিদে হত্যাযজ্ঞ শেষে রাস্তায় এবং পার্কিং লটে যারা ছিলেন তাঁদের ওপরেও গুলি চালায় এই খুনি।
ভিডিওতে দেখা যায় হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি ট্যারান্ট। এরপর সেই মৃত মানুষদের ওপরেও গুলি চালায় সে। এমনকি এই হত্যাকান্ডের পরও নির্বিকার ছিলো এই খুনি। ভিডিওতে আরও দেখা যায় সবকিছু শেষে গাড়িতে উঠে গান শুনছিলো সে।
বন্ধুকধারী এই সন্ত্রাসী তাঁর ভিডিওটি শুরু করেছিলো 'পার্টি শুরু করা যাক'- এই কথাটি বলে এবং গুলি চালানোর সময় অ্যামেরিকার গৃহযুদ্ধের সঙ্গীত বাজাচ্ছিলো। তাঁর কাছে ছিলো বেশ কিছু অটোম্যাটিক রাইফেল, দুটি জেরক্যান এবং একটি ব্যাগ। ব্যাগটিতে লোগো ছিলো 'প্রাউডলি কিউই এস'।
এদিকে এরই মধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্রাইস্টচার্চ পুলিশ। জানা গিয়েছে এই খুনি ছিলো একজন ঘোর মুসলিম বিরোধী এবং তাঁর অস্ত্রে নাম লিখা ছিলো লুকা ট্রাইনি। এই ট্রাইনি ছিলো একজন ইটালির নাগরিক যে কিনা ছয় জন আফ্রিকান অভিবাসির ওপর গুলি চালিয়েছিলো গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর তার ১২ বছরের জেল হয়।
এই ভয়ঙ্কর ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। নিরাপত্তা শঙ্কায় এরই মধ্যে ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। আজকের মধ্যে দেশে ফিরতে পারে বাংলাদেশ দল।