সাইফের হাফসেঞ্চুরি

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবঃ ১৭৫/১০ (৪৭.১ ওভার) (দেলোয়ার-৪০*, সাব্বির- ৩১; রেজা- ৩/৩২, সানি-২/৩১)
প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবঃ ১০৮/১ (২৯ ওভার) (সাইফ-৫২*, ফরহাদ- ৩২*; শুভ-১/১৮)
সাইফের হাফসেঞ্চুরিঃ ৫৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ফরহাদ হোসেনকে সাথে নিয়ে দারুণ ব্যাটিং করে যাচ্ছেন প্রাইম দোলেশ্বরের ওপেনার সাইফ হাসান। এরই মধ্যে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি।
জুটি ভাঙ্গলেন শুভঃ দলীয় ৫৭ রানের মাথায় সৈকত আলিকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠিয়েছেন শাইনপুকুরের সোহরাওয়ার্দি শুভ। ফলে ২৩ রান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে সৈকতকে।
দারুণ সূচনা প্রাইম দোলেশ্বরেরঃ শাইনপুকুরের ছুঁড়ে দেয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই ওপেনার সৈকত আলি এবং সাইফ হাসানের ব্যাটে দারুণ সূচনা পেয়েছিলো প্রাইম দোলেশ্বর। ৫৭ রানের জুটি গড়েছিলেন তাঁরা।

মামুলি সংগ্রহ শাইনপুকুরেরঃ আজ ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ডিপিএলের ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বরকে মাত্র ১৭৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। এদিন শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ফরহাদ রেজা এবং আরাফাত সানির দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৭৫ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছে আফিফ হোসেন ধ্রুবর শাইনপুকুর। ফরহাদ ৩২ রানে ৩টি এবং সানি ৩১ রানে ২টি উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়াও মাহমুদুল হাসান এবং এনামুল হক জুনিয়র নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে প্রাইম দোলেশ্বরঃ এই ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে শাইনপুকুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রাইম দোলেশ্বরের অধিনায়ক ফরহাদ রেজা। পরবর্তীতে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। দলটির ওপেনার সোহরাওয়ার্দি শুভকে উইকেটরক্ষক জসিমউদ্দিনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান প্রাইম দোলেশ্বরের স্পিনার আরাফাত সানি। মাত্র ৫ রান করে আউট হন শুভ।
বিপর্যয় অব্যাহতঃ বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি তরুণ ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন ধ্রুবও। মাত্র ১৩ রান করে মাহমুদুল হাসানের বলে তাইবুর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। ফলে ৫৩ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারাতে হয় শাইনপুকুরকে।
আফিফের ফেরার মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে মাহমুদুল হাসান এবং জসিমউদ্দিনের মিলিত চেষ্টায় মাত্র ২ রান করে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার হয়েছেন শুভাগত হোমকে। এর ফলে ৫৬ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসে দলটি।
ইনিংসের ১১তম ওভারের প্রথম বলে ৩১ রান করে আউট হতে হয়েছে আরেক ওপেনার সাব্বির হোসেনকেও। দলীয় ৪৮ রানের মাথায় রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। সৈকত আলির দারুণ একটি থ্রো উইকেটরক্ষক জসিমউদ্দিন লুফে নিয়ে সাব্বিরের স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দিয়েছিলেন।
১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে শাইনপুকুর শিবিরে আঘাত হানেন স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। ভারতীয় রিক্রুট ইয়াশপাল সিংকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে আউট করেন তিনি। মাত্র ১ রান করতে সক্ষম হন তিনি। ইয়াশপালের আউটে ৫৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয় অব্যাহত রাখে আফিফের দল।
তৌহিদ ও ধীমানের লড়াইঃ এরপর দ্রুত ৫ উইকেট হারিয়ে বসা দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন তৌহিদ হৃদয় এবং ধীমান ঘোষ। এই দুই ব্যাটসম্যান ৪৬ রানের জুটি গড়ে দলকে শত রানের কোটা পার করাতে সক্ষম হন। তৌহিদের সাথে দারুণ ব্যাটিং করছিলেন ধীমান ঘোষ। দলকে বিপদমুক্ত করার প্রচেষ্টায় রত ছিলেন তিনি।
ধীমানের বিদায়ঃ ২৪ রান করে সাদ নাসিমের একটি থ্রোতে রান আউটের শিকার হন ধীমান। ফলে দলীয় ১০৬ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে অলআউটের শঙ্কায় পড়ে শাইনপুকুর।
ধীমানের পর শাইনপুকুর ইনিংসের ৩১তম ওভারে বোলিংয়ে এসে তৌহিদ হৃদয়ের উইকেটটি তুলে নেন দোলেশ্বর পেসার ফরহাদ রেজা। ৩৩ রান করা হৃদয়কে উইকেটরক্ষক জসিমউদ্দিনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠিয়েছেন তিনি। ফলে ১১৪ রানের মাথায় ৭ উইকেট হারিয়ে আবারও বিপদে পড়ে শাইনপুকুর।
দেলোয়ারের লড়াইঃ ১১৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর টিপু সুলতানকে সাথে নিয়ে ৫৩ রানের জুটি গড়েছিলেন শাইনপুকুরের ডানহাতি ব্যাটসম্যান দেলোয়ার হোসেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই জুটিটি ভাঙ্গতে সক্ষম হন রেজা।
প্রাইম দোলেশ্বরের এই বোলার সাদ নাসিমের হাতে টিপুকে ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন। এরপর ৪৭তম ওভারের তৃতীয় বলে সুজন হাওলাদারের উইকেটটিও তুলে নেন তিনি।নিজের বলেই ফিরতি ক্যাচ নিয়ে লোয়ার অর্ডার এই ব্যাটসম্যানকে ফেরানোর মাধ্যমে তৃতীয় উইকেট নিজের করে নিয়েছেন রেজা। সুজনের ফেরার পর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে শরিফুল ইসলামকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আরাফাত সানি। ফলে ৪৭.১ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় শাইনপুকুর।