আশরাফুলের গোল্ডেন ডাক

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
গাজি গ্রুপ ক্রিকেটার্সঃ ১৮২/১০ (৪৫.২ ওভার) (শামসুর- ৭১*, তারেক-৫৬; শফিউল- ৫/৩২, গাজি-২/১৭)
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবঃ ৪৮/২ (১০ ওভার) (অভিষেক-২৪*, রকিবুল-৯*; রুয়েল-২/২২)
আশরাফুলের গোল্ডেন ডাকঃ মজিদকে ফেরানোর ঠিক পরের বলটিতে আবারও উইকেটের দেখা পেয়েছেন রুয়েল। উইকেটরক্ষক শামসুল ইসলামের হাতে মোহাম্মদ আশরাফুলকে ক্যাচ বানিয়ে আউট করেছেন তিনি। মাত্র ১ বল খেলে গোল্ডেন ডাকের লজ্জা নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। ফলে ২৫ রানে ২ উইকেট হারাতে হয়েছে মোহামেডানকে।
মজিদকে ফেরালেন রুয়েলঃ ইনিংসের পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে মোহামেডান শিবিরে আঘাত হানেন বাঁহাতি পেসার রুয়েল মিয়া। ওপেনার আব্দুল মজিদ উইকেটরক্ষক শামসুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। মাত্র ১৩ রান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে মজিদকে।

প্রথম ইনিংসঃ ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের (ডিপিএল) আজকের ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ১৮৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে গাজি গ্রুপ ক্রিকেটার্স। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে এদিন শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১৮২ রানে অলআউট হয়েছে গাজি গ্রুপ।
মাত্র ৩২ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়ে গাজিকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন পেসার শফিউল ইসলাম। ১৭ রানে ২৩ উইকেট নিয়ে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন স্পিনার সোহাগ গাজি। আজ সকালে টসে জিতে শুরুতে গাজি গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক রকিবুল হাসান।
কিন্তু এরপর দলীয় মাত্র ৩ রানের মাথায় ৩ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের উইকেট হারাতে হয় গাজি গ্রুপকে। মাত্র ১ রান করে ওপেনার মেহেদি হাসান শফিউল ইসলামের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন।
এরপর রনি তালুকদারকেও তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে সাজঘরে পাঠান তিনি। উইকেটরক্ষক ইরফান শুক্কুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন রনি। একই ওভারের দ্বিতীয় বলে শামসুর রহমানকে ফিরিয়ে দিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন শফিউল।
দলের বিপদে হাল ধরতে ব্যর্থ হন জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েসও। মাত্র ৭ রান করে আলাউদ্দিন বাবুর বলে নাদিফ চৌধুরীর তালুবন্দি হতে হয়েছে তাঁকে। ফলে ১৫ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয় অব্যাহত রাখে গাজি গ্রুপ।
ইমরুলের বিদায়ের পর গাজি শিবিরে আবারও আঘাত হানেন মোহামেডান পেসার শফিউল। রায়হান উদ্দিনকে (২) শুক্কুরের হাতে ক্যাচ বানিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন তিনি। এরপর নবম ওভারের চতুর্থ বলে পারভেজ রাসুলের উইকেটটি শিকার করার মাধ্যমে ৫ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন এই পেসার। আর শফিউলের তান্ডবে মাত্র ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে অলআউটের শঙ্কায় পড়ে গাজি গ্রুপ।
তবে দ্রুত ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দলের হাল ধরার দায়িত্ব নেন ২৪ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তৌহিদ তারেক। বিরুদ্ধ স্রোতে দাঁড়িয়ে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শামসুল ইসলামকে সাথে নিয়ে ১০১ রানের জুটি গড়েন তিনি। একই সাথে দারুণ একটি হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন এই তরুণ।
অবশ্য এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তৌহিদ। ৫৬ রান করে মোহাম্মদ আশরাফুলের বলে সোহাগ গাজির তালুবন্দি হয়েছেন তিনি। ফলে দলীয় ১২৭ রানের মাথায় ৭ উইকেট হারিয়ে বসে ইমরুল কায়েসের দলটি।
তৌহিদ ফিরলেও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শামসুল। আবু হায়দার রনিকে সাথে নিয়ে ইনিংস মেরামত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। গড়েছিলেন ৫১ রানের দারুণ একটি জুটি।
কিন্তু ১৭৮ রানের মাথায় রনিকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙ্গেন সোহাগ গাজি। এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি গাজি গ্রুপ। শামসুল শেষ পর্যন্ত ৭১ রানে অপরাজিত থাকলেও দল অলআউট হয়েছে ২৮ বল হাতে রেখেই।