promotional_ad

অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশেলে ডিপিএল টি-টুয়েন্টির সেরা একাদশ

ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


ডিপিএল টি-টোয়েন্টির ফাইনালে প্রাইম দোলেশ্বরকে ২৪ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ডিপিএল টি-টুয়েন্টি আসরে এবার তরুণ ক্রিকেটারদের সাথে অভিজ্ঞ অনেক ক্রিকেটার খেলেছেন।


পারফর্মেন্স দিয়ে নিজেদের নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। টুর্নামেন্ট শেষে অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশেলে এবার সাজানো হয়েছে ক্রিকফ্রেঞ্জির ডিপিএল টি-টুয়েন্টির সেরা একাদশ। দেখে নিন সেরা একাদশে আছেন যারাঃ


ইমতিয়াজ হোসেন তান্নাঃ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে ৪ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ফাইনালে দলের হয়ে দারুণ এক অর্ধশতক হাঁকিয়ে দলের জয়ে দারুণ অবদান রেখেছেন তিনি। হয়েছেন ফাইনালের ম্যাচ সেরা। ৪ ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১১০ রান। ২৭.৫০ গড় এবং ১২৬.৪৩ স্ট্রাইক রেটে এই রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। প্রাইম দোলেশ্বর বিপক্ষে ফাইনালে ৪৪ বলে ৫৬ রান করেছেন তিনি।


রুবেল মিয়াঃ ডিপিএল টি-টুয়েন্টি আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে আছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ডানহাতি ব্যাটসম্যান রুবেল মিয়া। ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার মাত্র ৩ ম্যাচে ৪৩ গড়ে ১২৯ রান সংগ্রহ করেছেন।


১২.৫৬ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা রুবেলের সেরা ইনিংসটি ছিলো আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে। টুর্নামেন্টের নবম এই ম্যাচে ৫৬ বলে ৪টি ছয় এবং ৭টি চারের সাহায্যে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। দুর্দান্ত খেলে তিনি নজর কেড়েছেন সবার।


আফিফ হোসেন ধ্রুবঃ শাইনপুকুরের হয়ে খেলা এই অলরাউন্ডার ৩ ম্যাচে সংগ্রহ করেছেন ৯৮ রান। ৩২.৬৬ গড় ও ১৩৪.২৪ গড়ে এই রান করেছেন তিনি। শেখ জামালের বিপক্ষে তিনি গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৪১ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তাঁর ইনিসটি সাজানো ছিল ৩টি ছয় ৭ চারে। এবারের আসরে এটিই তাঁর সর্বোচ্চ রান।    



promotional_ad

নুরুল হাসান সোহানঃ সেরা রান সংগ্রাহকের তালিকার দ্বিতীয়তে থেকে শেষ করেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের এই ব্যাটসম্যান ৪১.৩৩ গড় এবং ১৩৪.৭৮ স্ট্রাইক রেটে ৪ ম্যাচে ১২৪ রান সংগ্রহ করেছেন।


শাইনপুকুরের বিপক্ষে প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে ৩১ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন ২৫ বছর বয়সী নুরুল। তাছাড়া, শেখ জামালের হয়ে তাঁর দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব এবারের আসরে বাড়তি চমক ছিল।


জিয়াউর রহমানঃ জাতীয় দলে অনেকদিন থেকেই ব্রাত্য এই অলরাউন্ডার। ডিপিএলে টি-টুয়েন্টির আসরে এবার নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছেন তিনি। শেখ জামালের হয়ে ম্যাচ খেলে তাঁর রান  ৯১। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৭২ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।


শাইনপুকুরের বিপক্ষে মাত্র ২৯ বলে ৭২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে দলকে ফাইনালে জায়গা করে দেন তিনি। এদিন চারের চেয়ে ছয় মারার দিকেই মনযোগী ছিলেন এ অলরাউন্ডার। ৪টি চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কা মারেন তিনি। হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেছিলেন মাত্র ২১ বলে। 


ফরহাদ রেজাঃ ডিপিএল টি টুয়েন্টি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের ফরহাদ রেজা। ৪ ম্যাচে ৬.১২ ইকোনমি রেটে ১১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। যেখানে তাঁর বোলিং গড় ছিল ৮.৯০। 


প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে ৩২ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি, যা এই টুর্নামেন্টে তাঁর সেরা বোলিং ফিগার। ব্যাট হাতেও দারুণ পারফর্মেন্স করেছেন তিনি। 


৪ ম্যাচে ৩৫.৬৬ গড় এবং ২২৭.৬৫ স্ট্রাইক রেটে ১০৭ রান সংগ্রহ করেছেন। শেখ জামালের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে ২০ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। যা টুর্নামেন্টের সর্বাধিক রান সংগ্রাহকদের মধ্যে পঞ্চম স্থানে জায়গা করে দিয়েছে তাকে।



শুভাগত হোমঃ এই টুর্নামেন্টের সর্বাধিক রান সংগ্রাহকদের মধ্যে তৃতীয়তে থাকা শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলা শুভাগত মোট রান সংগ্রহ করেছেন ৩ ম্যাচে ১২১। যেখানে তাঁর ব্যাটিং গড় ৬০.৫০ এবং স্ট্রাইক রেট  ২৬৮.৮৮।


মোহামেডানের বিপক্ষে পঞ্চম ম্যাচে ১৮ বলে অপরাজিত ৫৮ রানের বিধ্বংসী একটি ইনিংস খেলেন তিনি। ৬টি ছয় এবং ৪টি চার হাঁকিয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান।


সোহরাওয়ার্দী শুভঃ সেরা উইকেট শিকারির তালিকায় চতুর্থতে আছেন শাইনপুকুরের সোহরাওয়ার্দী শুভ। ৩ ম্যাচে ৬ উইকেট শিকার করেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। তাঁর বোলিংয়ের ইকোনমি রেট ৭.৫০ এবং গড় ১০.০০। লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ১২ রানে ২ উইকেট তাঁর সেরা বোলিং। 


শহিদুল ইসলামঃ  শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে ৪ ম্যাচে ১১ উইকেট শিকার করেছিলেন ডান হাতি পেসার শহিদুল। তাঁর ইকোনমি রেট এবং গড় যথাক্রমে ৭.২৮ এবং ৯.২৭। দুর্দান্ত বোলিংয়ে এবারের আসরে নজর কেড়েছেন তিনি।


মোহাম্মদ শাকিলঃ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বাঁহাতি পেসার শাকিল ডিপিএল টি-টুয়েন্টির সর্বাধিক উইকেট শিকারিদের তালিকায় রয়েছেন তৃতীয়তে। ৪ ম্যাচে ৮.৩০ ইকোনমি রেট এবং ১৫.৪২ গড়ে ৭ উইকেট শিকার করেছেন ২৯ বছর বয়সী এই পেসার। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে প্রথম সেমিফাইনালে ২৮ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। 


মানিক খানঃ প্রাইম দোলেশ্বর হয়ে খেলা এই পেসার ৪ ম্যাচে মাত্র ৫ উইকেট শিকার করেছেন। তিনি ডিপিএল টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিক করা একমাত্র বোলার। ফতুল্লায় বিকেএসপির বিপক্ষে ১২ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার পথে করেছিলেন হ্যাটট্রিক। দুর্দান্ত এই হ্যাটট্রিকই তাকে সেরা একাদশে জায়গা করে দিয়েছে।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball