promotional_ad

সৌম্যর দ্বিতীয় শিকার

ছবি- সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ 


বাংলাদেশঃ ২৩৪/১০ (৫৯.২ ওভার) (প্রথম ইনিংস) (তামিম- ১২৬; ওয়েগনার ৫/৪৭, সাউদি- ৩/৭৬) 


নিউজিল্যান্ডঃ ৩৫৬/৩ (৯২ ওভার) (প্রথম ইনিংস) (উইলিয়ামসন-৪৯*; নিকোলস-০* মাহমুদুল্লাহ- ১/৩, সৌম্য-২/৩০)


লিডঃ ১১৮ রান 


লাথামের পর সাজঘরে টেইলরঃ 


লাথাম আউট হওয়ার মাত্র ১৬ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রস টেইলরকেও। লাথামের মতো তাঁকেও ফিরিয়েছেন সৌম্য। ৯১ তম ওভারের শেষ বলটিতে টেইলরকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে আউট করেন টাইগারদের এই পার্ট টাইম বোলার। মাত্র ৪ রান করতে সক্ষম হয়েছেন টেইলর। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কিউইদের স্কোর দাঁড়িয়েছে ৩ উইকেটে ৩৫৬ রান। তাদের লিডের পরিমাণ ১১৮ রান।  


ভয়ঙ্কর লাথামকে ফেরালেন সৌম্যঃ


৮৫তম ওভারে বোলিংয়ে এসে অবশেষে ক্রমান্বয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা টম লাথামকে ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশ দলের পার্ট টাইম বোলার সৌম্য সরকার। সৌম্যর করা ওভারের তৃতীয় বলটি কিউই ওপেনারের ব্যাটের কানায় লেগে ধরা পড়ে স্লিপে ফিল্ডিংরত মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে। ফলে ১৬১ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় লাথামকে। 


কিউইদের তিনশঃ


রাভাল আউট হলেও টম লাথাম এবং অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ব্যাটে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। এরই মধ্যে তিনশ রানের কোটা পার করেছে তারা। 


মাহমুদুল্লাহর ব্রেক থ্রুঃ


দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে উইকেটের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৭০ তম ওভারের পঞ্চম বলে খালেদ আহমেদের হাতের ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন অভিষেক সেঞ্চুরি হাঁকানো ওপেনার জিত রাভাল। এরই সাথে পরিসমাপ্তি ঘটে তাঁর ১৩২ রানের দারুণ ইনিংসটির। 


রিয়াদের করা বলটি স্লগ সুইপ করতে গিয়েছিলেন কিউই এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু টাইমিংয়ের গড়বরে শেষ পর্যন্ত মিডউইকেটে খালেদের তালুবন্দি হতে হয় তাঁকে। এর ফলে টম লাথামের সাথে রাভালের ২৫৪ রানের উদ্বোধনী জুটিটি ভাঙ্গে।    


লিডের দেখা পেল নিউজিল্যান্ডঃ 


জিত রাভাল এবং টম লাথামের জোড়া সেঞ্চুরিতে বিশাল পুঁজির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। এই দুই ওপেনারের ব্যাটে ১০ রানের লিড পায় তারা।  



promotional_ad

বিরতির পর লাথামের সেঞ্চুরিঃ 


৮৩ রান নিয়ে লাঞ্চের পর ব্যাট করতে নেমে নিজের নবম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন ২৬ বছর বয়সী কিউই ওপেনার টম লাথাম। আবু জায়েদ রাহির করা ৬১তম ওভারের পঞ্চম বলে চার হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি।    


বিনা উইকেটে লাঞ্চ বিরতিতে নিউজিল্যান্ডঃ 


বাংলাদেশি বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে বিনা উইকেটে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিলো স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। বিরতির আগে ১০৯ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন ওপেনার জিত রাভাল। অপরদিকে তাঁর সঙ্গী টম লাথামের সংগ্রহ ছিলো ৮৩ রান।  


রাভালের অভিষেক সেঞ্চুরিঃ


বাংলাদেশের বিপক্ষে লাঞ্চ বিরতির আগে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের অভিষেক সেঞ্চুরি তুলে নেন কিউই ওপেনার জিত রাভাল। ৩০ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান গতকাল অপরাজিত ছিলেন ৫১ রান নিয়ে। আজ টেস্টের দ্বিতীয় দিন খেলতে নেমে এই রানকে সেঞ্চুরিতে রপান্তর করলেন তিনি। একই সাথে টেস্ট ক্যারিয়ারের হাজার রানের মাইলফলকেও পা রেখেছেন রাভাল। 


লাথামের হাফসেঞ্চুরি


৩৫ রান নিয়ে আজ খেলতে নামা কিউই ওপেনার টম লাথাম টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৬তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটে ৩ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন। 


কিউইদের দলীয় ১০০ঃ


বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যামিল্টন টেস্টের দ্বিতীয় দিন আজ খেলতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিলেন দুই কিউই ওপেনার জিত রাভাল এবং টম লাথাম। বাংলাদেশি বোলারদের কোনও সুযোগ না দিয়ে দলকে ১০০ রান পার করান তারা। 


উল্লেখ্য সেডন পার্কে অনুষ্ঠিত টেস্টটির প্রথম দিন বাংলাদেশের ২৩৪ রানের জবাবে বিনা উইকেটে ৮৬ রান নিয়ে খেলা শেষ করেছিলো স্বাগতিকরা। টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে অপরাজিত ছিলেন ৩০ বছর বয়সী রাভাল। আর তাঁর সঙ্গী লাথামের সংগ্রহ ছিলো ৩৫ রান।  


বাংলাদেশ ইনিংসের বিবরণঃ 


এর আগে ম্যাচটির শুরুতে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এরপর ব্যাট করতে নেমে প্রথম সেশন বাংলাদেশের পক্ষে গেলেও পরের দুই সেশনে কিউই পেসার নিগ ওয়েগনারের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।


বাংলাদেশের পক্ষে তামিম ইকবাল ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান দাঁড়াতেই পারেন নি। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১২৮ বলে ১২৬ রান। এই শতকের সুবাদে টেস্ট বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ শতকের মালিক বনে গিয়েছেন তামিম। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে নিগ ওয়েগনার ৪৭ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেছেন। 


নিউজিল্যান্ডের বোলারদের পেস বাউন্স এবং সুইংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে করেছিলো তামিম ইকবাল এবং সাদমান ইসলাম অনিক। অনিক একপ্রান্তে ধীরগতিতে ব্যাট করলেও খানিকটা হাত খুলেই খেলেছেন তামিম।


দুই ওপেনারকেও দেখে মনে হচ্ছিল বেশ ছন্দে আছেন তাঁরা। তাঁদের ব্যাটে ভর করে ১০ ওভারের আগেই বাংলাদেশ পায় ৫০ রানের পুঁজি। কিন্তু দলীয় ৫৭ রানে ট্রেন্ট বোল্টের দুর্দান্ত এক ডিলেভারি স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দেয় সাদমান ইসলামের। ২৪ রান করেই ফিরতে হয় এই ওপেনারকে। সাদমান ফিরলেও মমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে নিজের স্বাভাবিক খেলা চালিয়ে যান তামিম।



ইনিংসের ১৩তম ওভারে ৩৮ রানে ব্যাট করছিলেন তামিম ইকবাল। বোলিংয়ে আসা ট্রেন্ট বোল্টকে টানা ৩ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৩৫ স্ট্রাইক রেটে ৩৭ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। এক ওভারে ১৭ রান নিয়ে ফিফটি তুলে নেয়ার পাশাপাশি হ্যামিল্টনে বড় ইনিংস খেলার আভাস দেন তামিম।


একপ্রান্তে তামিম হাত খুলে খেললেও অপরপ্রান্তে থাকা মমিনুল হক উইকেটে থিতু হয়ে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করছিলেন। কিন্তু লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার খানিক আগেই নিল ওয়েগনারের লেগ সাইডের এক বলকে খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন মমিনুল। ৪৬ বলে ১২ রান করে ফেরেন তিনি।


মমিনুল ফিরলেও সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকেন তামিম ইকবাল। ৮৬ রানে অপরাজিত থেকে লাঞ্চে যান তিনি। এর আগে পুরো ইনিংস জুড়ে ব্যাট করেছেন ওয়ানডে মেজাজে। ফিফটি হাঁকিয়েছেন ৩৭ বলে, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে জীবনও পেয়েছেন ৬৫ রানে ব্যাট করা অবস্থায়। জীবন পেয়েও ব্যাটিংয়ের ধরণ বদলান নি তামিম।


নিল ওয়েগনারের বাউন্সারকে পুল করে লেগ সাইডে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১০০ বলে ১০০ স্ট্রাইকরেটে টেস্টে ওয়ানডে মেজাজি ব্যাটিং করে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি তুলে নেন এই বাঁহাতি ওপেনার। যেখানে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১৮টি চার। 


নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এটি তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি আর এই নিয়ে ৯ বছর পর ঘরের বাইরে শতক হাঁকালেন তামিম। অবশ্য তামিম সেঞ্চুরি হাঁকানোর দুই ওভার পরই ওয়েগনারের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে উইকেট নিয়ে বসেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। এর খানিকপর ১ রান করে উইকেটের পেছনে টিম সাউদিকে উইকেট বিলিয়ে দেন সৌম্য সরকারও।


৬৫ রানে কল??ন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে  জীবন পেলেও ব্যক্তিগত ১২৬ রানে থাকা অবস্থায় তাঁকেই উইকেট ছুঁড়ে দেন তামিম। ১২৮ বলে ২১ চার এবং ১ ছক্কার সাহায্যে সাজানো ইনিংসটি থামে গালিতে কেন উইলিয়ামসনের হাতে তালুবন্দি হয়ে। 


প্রথম সেশনে ১ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় সেশনে আরও বিধ্বংসী বোলিং করেন কিউই পেসার নিল ওয়েগনার। তুলে নেন আরও ৩টি উইকেট। তাই পেস এবং বাউন্সের সামনে উইকেট ছুঁড়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং মেহেদি হাসান মিরাজরা।


ওয়েগনারের পেসের সামনেই লন্ডভন্ড হয়ে যায় বাংলাদেশের মিডেল অর্ডার। ৭ উইকেটে ২১৭ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় দুইদল। দ্বিতীয় সেশনটি যায় কিউইদের পক্ষে। শেষ সেশনে ব্যাট করতে নেমে বেশীক্ষণ আর ব্যাটিং করা হয় নি টাইগারদের।


টেইলেন্ডাররা আসা যাওয়ার মাঝে থাকলেও দেখে শুনে রান যোগ করছিলেন লিটন দাস। কিন্তু তাঁকেও শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় করে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন ওয়েগনার। আর বাংলাদেশ অল আউট হয় ২৩৪ রানে। 


বাংলাদেশ একাদশঃ


তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, আবু জায়েদ রাহী ও সাদমান ইসলাম, এবাদত হোসেন।


নিউজিল্যান্ড একাদশঃ


কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), টম লাথাম, জিত রা‍ভাল, রস টেলর, হেনরি নিকোলস, বিজে ওয়াটলিং (উইকেটকিপার), কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, টড অ্যাস্টল, টিম সাউদি, নেইল ওয়াগনার, ট্রেন্ট বোল্ট



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball