ইতিহাস গড়লো শ্রীলঙ্কা

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
উপমহাদেশের প্রথম দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়েছে শ্রীলঙ্কা। পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে তারা প্রোটিয়াদের হারিয়েছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে। ১৯৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৩৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা।
তৃতীয় দিনে সেখান থেকে দলকে টেনেছেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান অশাদা ফার্নান্দো ও কুশাল মেন্ডিস। দুজনেই অর্ধশতক তুলে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। অশাদা অপরাজিত ছিলেন ৭৫ রান করে। আর কুশাল অপরাজিত ছিলেন ৮৪ রান করে।
ডারবানে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১ উইকেটের জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে দুই ম্যাচ সিরিজে প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশ করেছে শ্রীলঙ্কা। ঘরের মাঠে প্রোটিয়ারা সবশেষ হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে, ২০০৬ সালে।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর গত তিন দশকে মাত্র দুটি দেশ প্রোটিয়াদের ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করেছে। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড হল সেই দুই দল। এবার তৃতীয় দল হিসেবে রেকর্ড গড়ল শ্রীলঙ্কা।

এর আগে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২২২ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর লঙ্কানদের প্রথম ইনিংসও আশানুরূপ হয়নি। রাবাদা ও ওলিভিয়েরের বোলিং তোপে মাত্র ১৫৪ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
প্রোটিয়ারা ৬৮ রানে এগিয়ে থেকেও দ্বিতীয় ইনিংসে বড় সংগ্রহ গড়তে ব্যর্থ হয়েছে। দ্বিতীয় দিন চা বিরতিতেই ৯১ রানে ৫ উইকেট তুলে নেয় লঙ্কানরা। বিরতির আগে সবশেষ বিদায় নেন হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক।
সেই সময় লিড দেড়শ ছাড়ালেও এরপর অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসের অপরাজিত ৫০ রান ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। ফলে মাত্র ১২৮ রানেই শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
লঙ্কান পেসার সুরঙ্গ লাকমল ৩৯ রানে নেন ৪ উইকেট। অফস্পিনার ধনাঞ্জয়া ৩৬ রানে নেন ৩ উইকেট। ১৯৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৬০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকেই দলকে জয়ের পথে নিয়ে গেছেন অশাদা ও কুশাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ-
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসঃ- ২২২/১০ (৬১.২ ওভার)
(কক ৮৬, মার্করাম ৬০; ফার্নান্ডো ৩/৬২, রাজিথা ৩/৬৭)
শ্রীলংকা প্রথম ইনিংসঃ- ১৫৪/১০ (৩৭.৪ ওভার)
(থিরিমান্নে ২৯, ডিকওয়েলা ৪২; রাবাদা ৪/৩৮,ওলিভিয়ের ৩/৬১)
দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসঃ ১২৮/১০ (৪৪.৩)
(ডু প্লেসিস ৫০*, আমলা ৩২; লাকমল ৪/৩৯, সিলভা ৩/৩৬)
শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসঃ ১৯৭/২ (৪৫.৪ ওভার)
(ফার্নান্দো ৭৫*, মেন্ডিস ৮৪*; ওলিভিয়ার ১/৪৬)