promotional_ad

দুর্দান্ত সাব্বির, অসাধারণ সাউদি, হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

ছবিঃ সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


দলের জন্য একাই লড়েছেন বাংলাদেশ দলের ডানহাতি ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকিয়েছেন তিনি, কিন্তু দলকে হোয়াইটওয়াশ থেকে বাঁচাতে পারেননি। তবে বল হাতে অসাধারণ ছিলেন কিউই পেসার টিম সাউদি। তাঁর বোলিংয়েই ধ্বংস হয়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ, শেষ পর্যন্ত সফরকারীদের ৮৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। টাইগারদের ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে স্বাগতিকরা।


ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে আগে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশের সামনে ৩৩১ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই চাপে পড়ে যায় দলটি। মাত্র দুই রানেই তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে হারায় দলটি।


তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার ফেরেন শূন্য রানে, এক রানের দেখা পান তামিমের সাথে ওপেনিংয়ে নামা লিটন কুমার দাস। তিন জনকেই সাজঘরে পাঠান সাউদি। এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যান দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু তাঁদের জুটি থেমে যায়.৩৮ রানে। দলীয় চল্লিশ রানে ১৭ রান করা মুশফিককে হারায় বাংলাদেশ।


রিয়াদের সাথে সঙ্গ দিতে উইকেটে নামেন সাব্বির রহমান। কিন্তু ১৬ রান করতেই ফেরেন রিয়াদ। সাব্বিরকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। দুই জনে মিলে অসাধারণ এক জুটি গড়েন। ১০১ রানের জুটি গড়ার পর ৪৪ রানের ইনিংস খেলা সাইফউদ্দিন সাজঘরে ফিরে যান। একাই লড়াই চালিয়ে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধশতকটি হাঁকিয়ে নেন সাব্বির।


সাইফউদ্দিনের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে উইকেটে নেমেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মির্তুজা। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকা হয়নি তাঁর, দুই রানেই ফেরেন তিনি। এরপর মিরাজের সাথে ৬৭ রানের জুটি গড়েন সাব্বির। ১০৫ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকিয়ে নেন এই ডানহাতি। যেখানে বারটি চার এবং দুটি ছয় মেরেছেন তিনি।


সাব্বিরের শতক হাঁকানোর পরের বলেই ৩৪ বলে ৩৭ রান করা মিরাজ ফিরে যান। এরপর রুবেলও সঙ্গ দিতে পারেননি সাব্বিরকে। শেষ উইকেটে আউট হন সাব্বির, ১১০ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেলে। ২৪২ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।



promotional_ad

বিধ্বংসী সাউদি একাই ছয় উইকেট নিয়েছেন, হয়েছেন ম্যাচ সেরা। ট্রেন্ট বোল্ট নিয়েছেন দুটি উইকেট।


ম্যাচটিতে টসে জিতে ফিন্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েই বিপদ ডেকে এনেছিল সফরকারীরা। তিন ব্যাটসম্যান হেনরি নিকোলস, রস টেইলর এবং টম লাথামের অর্ধশতকে ৩৩০ রান সংগ্রহ করে দলটি।
 
সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে দলে ছিলেন না মুনরো, সুযোগ পেয়েছেন শেষ ম্যাচে। কিন্তু বাঁহাতি এই বিধ্বংসী ওপেনারকে বেশিদূর যেতে দেন নি কাপ্তান মাশরাফি বিন মর্তুজা। দলীয় ২১ রানের সময় ব্যক্তিগত ৭ রানে থাকা অবস্থায় মুনরোকে বিদায় করেন তিনি।
 
মুনরো ফিরলেও হেনরি নিকোলসকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন প্রথম দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মার্টিন গাপটিল। সুযোগ ছিল হ্যাট্রিক সেঞ্চুরি হাঁকানোর, কিন্তু তাঁকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেন সাইফুদ্দিন এবং তামিম ইকবাল। অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়ে ২৯ রানে গাপটিলকে বিদায় করেন তামিম। 


দুই ওপেনারকে হারালেও দলের পক্ষে হাল ধরে খেলছিলেন রস টেইলর এবং হেনরি নিকোলস। ইনিংসের ১২তম ওভারে ২য় উইকেট হারানো কিউইদের ১০০ রানের পুঁজি এনে দেয় এই জুটি। এই ম্যাচে ৩ নম্বরে নেমে ফিফটি তুলে নেন নিকোলস।


টেইলরকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এনে দেন ১৫০ রানের পুঁজিও। কিন্তু তাঁদের ৯২ রানের জুটি ভাঙ্গেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৬৪ রানে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নিকোলস। নিকোলস ফিরে যাওয়ার খানিক পর ফিফটি তুলে নেন টেইলর। 


ফিফটি তুলে নেয়ার পাশাপাশি ওয়ানডে ফরম্যাটে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশী রানের রেকর্ডটিও নিজের দখলে নেন টেইলর, ছাড়িয়ে যান সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন ফ্লেমিংকে। এরপর দেখে শুনেই খেলছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত ৬৯ রানে থাকা অবস্থায় রুবেল হোসেনের বাউন্সারে মাহমুদুল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন এই ব্যাটসম্যান। 


টেইলরকে হারালেও ক্রিজে নেমে লাথামকে দারুণ সঙ্গ দেন জিমি নিশাম। ২৪ বলে ৩৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে মুস্তাফিজের বলে নিশাম ফিরলেও ফিফটি তুলে নেন লাথাম। ৫৯ রান করে ফিজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন লাথাম।


৬ উইকেট হারালেও শেষের দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। তাঁকে দুর্দান্ত সঙ্গ দেন মিচেল স্যান্টনার। শেষ ২১ বলে ৪৬ রান যোগ করে দলকে ৩০০'র উপর পুঁজি এনে দেয় এই জুটি। গ্র্যান্ডহোম ১৫ বলে ৩৭ এবং স্যান্টনার ৯ বলে ১৬ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।



ফলে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রানের বিশাল পুঁজি পায় বাংলাদেশ। এদিন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে বোলিং করেছেন মুস্তাফিজ। ২ উইকেট নিলেও ১০ ওভারে রান দিয়েছেন ৯৩।


সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ


নিউজিল্যান্ডঃ ৩৩০/৬ (৫০ ওভার)


(টেইলর ৬৯, নিকোলস ৬৪ লাথাম ৫৯) (মুস্তাফিজ ২/৯৩)


বাংলাদেশঃ ২৪২ অলআউট (৪৭.২ ওভার)


(সাব্বির ১০২, সাইফউদ্দিন ৪৪) (সাউদি ৬/৬৫) 



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball