হেগলি ওভাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডের আদ্যোপান্ত

ছবি: গেটি ইমেজ

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নেপিয়ারের মাঠে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর এবার ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে আরেকটি কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কেননা নেপিয়ারের থেকে এখানে ঠান্ডার পরিমাণ অনেকটাই বেশি।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এখানকার কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে যে যথেষ্ট গলদঘর্ম হতে হবে মাশরাফির দলকে তা সহজেই অনুমেয়। তবে আশার কথা হলো ক্রাইস্টচার্চের কন্ডিশন বেশ কঠিন হলেও এখানকার উইকেট যথেষ্ট ব্যাটিং সহায়ক।

বিশেষ করে উইকেটে সমান বাউন্স থাকায় ব্যাটে খুব সহজেই বল আসে ব্যাটসম্যানদের। সেক্ষেত্রে বলের পেসকে কাজে লাগিয়ে সহজেই রান বৃদ্ধি করা সক্ষম। তার ওপর এই মাঠে এর আগেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের।
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে টাইগারদের সামনে ৩৪২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিলো নিউজিল্যান্ড, জবাবে ৪৪.৫ ওভারে ২৬৪ রানে গুঁটিয়ে গিয়েছিলো মাশরাফির দল। ফলে ৭৭ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলো তারা।
সেই ম্যাচটিতে পরাজিত হলেও উইকেট এবং কন্ডিশন সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়েছিলো ক্রিকেটাররা। এবার সেই ধারণাকে কাজে লাগিয়েই শনিবার উইকেট বুঝে খেলতে হবে দলের ব্যাটসম্যানদের।
ক্রাইস্টচার্চের এই মাঠে এর আগে তিনশত রান ছাড়ানো দলীয় ইনিংস রয়েছে মোট ৬টি। যেখানে সর্বোচ্চ স্কোরটি ছিলো স্কটল্যান্ডের। ২০১৪ সালে ক্যানাডার বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৩৪১ রান সংগ্রহ করেছিলো তাঁরা।
অপরদিকে সর্বনিম্ন সংগ্রহ ছিলো উইন্ডিজদের। ২০১৭ সালে বৃষ্টি বিঘ্নিত সেই ম্যাচে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩ ওভারে ৯৯ রান করেছিলো ক্যারিবিয়ানরা। এবার এই মাঠেই নিজেদের ভাগ্য বদলানোর লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো খেলতে নামছে বাংলাদেশ।