কিউই শিবিরে মিরাজের আঘাত

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশঃ ২৪৭/১০ (৪৬.১ ওভার) (মুশফিক- ৬২, মাহমুদুল্লাহ- ৭২; ম্যাকপিক-৪/৩৮, রবিন্দ্র-২/৩৪)
নিউজিল্যান্ড একাদশঃ ২২৯/ (৪২ ওভার) (অ্যালেন-১৮*; ক্লার্ক-১৭*; নাঈম-১/৪৩, মাহমুদুল্লাহ-১/৩০)
স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে আজ একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ড একাদশের মুখোমুখি হয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচে কিউইদের সামনে সেভাবে দাঁড়াতেই পারেননি টাইগার ব্যাটসম্যানেরা।
কিউইদের কাছে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৬.১ ওভারে মাত্র ২৪৭ রানে গুঁটিয়ে গিয়েছে মেহেদি হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ২৪৮ রানের লক্ষ্যে এরপর খেলতে নেমে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৫ উইকেটে ২২৯ রান সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড একাদশ।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন কিউই ওপেনার অ্যান্ড্রু ফ্লেচার। ১১২ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলে শতকের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে থামাতে সক্ষম হয়েছেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ফ্লেচারকে দলীয় ১৮২ রানের মাথায় সাজঘরে পাঠিয়েছেন তিনি।

ফ্লেচার ফেরার মাত্র ৬ রানে ব্যবধানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে বসেছে নিউজিল্যান্ড একাদশ। রাচিন রবীন্দ্রকে বোল্ড করে ফিরিয়েছেন সৌম্য সরকার। তবে দ্রুত দুইটি উইকেট হারালেও দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান এফএইচ অ্যালেন এবং কেডি ক্লার্কের ব্যাটে অনেকটা সহজ জয়ের পথেই ছিলো কিউইরা।
কিন্তু ২২৭ রানের মাথায় কেডি ক্লার্ককে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে কিউইদের কিছুটা বিপদে ফেলেছেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। ১৯ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন ক্লার্ক। জয়ের জন্য বর্তমানে কিউইদের ৪৮ বলে ১৯ রান। হাতে আছে ৫ উইকেট।
এদিন ওভালে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচটিতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড একাদশের অধিনায়ক জিত রাভাল। কিউইদের আমন্ত্রণে ব্যাটিং করতে নেমে এরপর সফরকারী বোলারদের তোপের মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশকে।
দলীয় ৩১ রানের মাথায় উপরের সারির ৪ জন ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এরপর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিমের ১০৮ রানের জুটিতে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো বাংলাদেশ।
দলীয় ১৩৯ রানের মাথায় মুশফিককে আউট করে এই জুটি ভাঙ্গেন সিন সোলিয়া। পরবর্তীতে মাহমুদুল্লাহ এবং সাব্বির রহমান ৩৫ রানে জুটি গড়েছিলেন। ৭২ রান করা মাহমুদুল্লাহকে ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙ্গেছেন কিউই বোলার ম্যাকপিক। ১৭৪ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর সাব্বিরের ৪০ এবং নাঈমের অপরাজিত ১৭ রানে ভর করে ২০০ এর কোটা পার করেছিলো বাংলাদেশ।
তবে এরপর কিউই বোলারদের তান্ডবে এরপর আর খুব বেশি এগোতে পারেনি সফরকারীরা। ৪৬.১ ওভারে ২৪৭ রানে অলআউট হয়েছে তারা। বাংলাদেশ শিবিরে ধ্বস নামানোর মূলে ছিলেন আইজে ম্যাকপিক। মাত্র ৩৮ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এছাড়াও এটিই হ্যাজেলডাইন এবং রাচিন রবীন্দ্র ২টি করে উইকেট পেয়েছেন।
বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১৪ রানের জুটি গড়েছিলো দুই কিউই ওপেনার জিত রাভাল এবং অ্যান্ড্রু ফ্লেচার। ৫২ রান করা রাভালকে মুশফিকের হাতে ক্যাচ বানিয়ে এই জুটি ভেঙ্গেছিলেন টাইগার স্পিনার নাঈম হাসান। ১১ রান করা সিন সোলিয়াকে ফিরিয়ে আরেকটি ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহও। এরপর ফ্লেচারের ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছিলো কিউইরা। রবীন্দ্রর সাথে ৫০ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সেটি ভাঙ্গতে সক্ষম হন মুস্তাফিজ।
বাংলাদেশঃ
লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), নাঈম হাসান, শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, মমিনুল হক, সাদমান ইসলাম।
নিউজিল্যান্ড একাদশঃ
জিত রাভাল (অধিনায়ক), অ্যান্ড্রু ফ্লেচার, সিন সোলিয়া, রাচিন রবীন্দ্র, এফএইচ অ্যালেন, কেডি ক্লার্ক, ডি এন ফিলিপ্স, এম ডব্লিউ চু (উইকেটরক্ষক), টি এফ ভ্যান উরকম, এটিই হ্যাজেলডাইন, আইজি ম্যাকপিক, জে এ ব্রাউন।