এক ইনিংস দিয়েই দ্বিতীয়তে তামিম!

ছবি: ছবি- বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) ফাইনালে নিজের ব্যাটিং কারিশমা প্রদর্শন করার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স তথা চ্যাম্পিয়ন দলের ওপেনার তামিম ইকবাল খান। ঢাকা ডাইনামাইটসের বিপক্ষে খেলতে নেমে ১১টি ছয় এবং ১০টি চারের সাহায্যে ৬১ বলে অপরাজিত ১৪১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলার মধ্য দিয়ে নিজের জাত তো চিনিয়েছেনই, পাশাপাশি টুর্নামেন্টটি শেষ করেছেন দ্বিতীয় শীর্ষ রান সংগ্রাহক হিসেবে।
অথচ ফাইনালের আগে এই তামিমের সর্বমোট রান ছিলো ৩২৬। ফলে তালিকার ষষ্ঠতে অবস্থান ছিলো তাঁর। কিন্তু এক ইনিংস দিয়েই দ্বিতীয়তে উঠে এসেছেন কুমিল্লার ওপেনার। ফাইনালের জন্য এই দুর্দান্ত ইনিংসটি জমিয়ে রাখা তামিম সদ্য শেষ হওয়া বিপিএল আসরে মোট ১৪টি ম্যাচ খেলেছেন কুমিল্লার জার্সিতে। যেখানে তিনি ৩৮.৯১ গড় এবং ১৩৩.৮১ স্ট্রাইক রেটে ৪৬৭ রান সংগ্রহ করেছেন। ফাইনালের শতকটি ছাড়াও ২টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন এবারের টুর্নামেন্টটিতে তামিম।

তবে শীর্ষ রান সংগ্রাহক হিসেবেই টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন রংপুর রাইডার্সের দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা এই প্রোটিয়া ১৪ ম্যাচে ৫৫৮ রান করেছেন। তাঁর ব্যাটিং গড় এবং স্ট্রাইক রেট যথাক্রমে ৬৯.৭৫ ও ১৫০.০০। তাঁর রয়েছে ৫টি শতক এবং ১টি অর্ধশতক।
শীর্ষ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তৃতীয় এবং চতুর্থতে আছেন মুশফিকুর রহিম এবং নিকোলাস পুরান। চিটাগাং ভাইকিংসের অধিনায়ক মুশফিকও ছিলেন এবারের টুর্নামেন্টে অসাধারণ ফর্মে। দল ফাইনালে উঠতে না পারলেও নিজেকে ঠিকই প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। বিপিএল ৬ এ তাঁর সর্বমোট রান সংখ্যা ১৩ ম্যাচে ৩৫.৫০ গড়ে ৪২৬। ১৩৯.২১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন মুশফিক। হাঁকিয়েছেন ৩টি অর্ধশতক।
সিলেট সিক্সার্সের ক্যারিবিয়ান রিক্রুট এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরানও ছিলেন ব্যাট হাতে ফর্মে। তাঁর দল আশানুরূপ সাফল্যের মুখ না দেখলেও ১১ ম্যাচে ৪৭.৩৭ গড় এবং ১৫৯.৯১ স্ট্রাইক রেটে ৩৭৯ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। তাঁর রয়েছে ৩টি অর্ধশতক।
তালিকার পঞ্চম স্থানটিও দখলে একজন বিদেশির। ১১ ম্যাচে ৩৩৯ রান সংগ্রহ করা রাজশাহী কিংসের ইংলিশ ব্যাটসম্যান লরি ইভান্স রয়েছেন এই অবস্থানটিতে। ৩৭.৬৬ গড় এবং ১৩৭.৮০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা ইভান্স হাঁকিয়েছেন ১টি শতক এবং ২টি অর্ধশতক।