গতবার গেইল, এবার তামিম

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে একটা ইনিংসই পরাজয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষেও ঘটেছে এমন। টানা দুইবার বিপিএল ফাইনালে একবার ক্রিস গেইল এবং একবার তামিম ইকবালের ইনিংসে পরাজিত হয়েছে সাকিব আল হাসানের ঢাকা। তাই সামনে প্রতিপক্ষের কোন ব্যাটসম্যানকে এমন ইনিংস খেলতে দেয়ার পক্ষে নন ঢাকার অধিনায়ক সাকিব।
২০১৭ সালের বিপিএল ফাইনালে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচে এক গেইলের কাছেই হেরেছে ঢাকা। আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ৬৯ বলে ১৪৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন গেইল। ২০ ওভার শেষে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিল ২০৬ রানের। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ৫৭ রানে পরাজিত হয়েছিল ঢাকা।

এবার ২০১৯ সালের বিপিএলেও এক জনের কাছে হেরেছে ঢাকা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল, যিনি ৬১ বলে ১৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলছেন। দশ রান রেটে ২০০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ১৭ রানে পরাজিত হয়েছে সাকিবের ঢাকা।
প্রতিবারই প্রতিপক্ষের একজন ব্যাটসম্যানের বড় একটি ইনিংস হারিয়ে দিচ্ছে ঢাকাকে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ঢাকার অধিনায়ক সাকিব বলেন,
'ফাইনালে এসে হেরে যাওয়া অনেক কষ্টের। শেষ তিনটা ফাইনাল খেললাম, প্রথমটা জিতেছি পরের দুইটা হেরেছি। কিছুটা দুঃখ আছে, কিন্তু টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে যদি এমন বড় কোন ইনিংস তাহলে পরাজয়টা স্বাভাবিক।
'গত আসরে গেইল ১৪৬ খেলল ১৪৬ রানের ইনিংস আর এবার তামিম খেলল ১৪১ রানের ইনিংস। দুইটা ইনিংসেই দুইটা ম্যাচে আমরা আসলে হেরে গেছি। এরপর চেষ্টা করতে হবে এমন ইনিংস যেন কেউ না খেলতে পারে।'
বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের ফাইনালে কুমিল্লার জয়ে ২৩১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা তামিমের অবদান সবচেয়ে বেশি। ৬১ বলের তামিমের এই অসাধারণ ইনিংসটি দশটি চার এবং এগারোটি ছয়ে সাজানো ছিল।