ওয়ালশ-চম্পাকাকে এবাদতের ধন্যবাদ

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরের টেস্ট স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ এবং এইচপির কোচ চম্পাকা রামানায়েকেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার এবাদত হোসেন।
গত দুই বছর ধরে লাল বলের ক্রিকেটে নিজেকে প্রস্তুত করে আসছেন এবাদত। ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে শিক্ষানবিশ হিসেবে বাংলাদেশ দলের সাথে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ওয়ালশের তত্ত্বাবধানে বোলিং অনুশীলন করেছিলেন। পাশাপাশি এইচপি দলে থাকায় রামানায়েকের সাথেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। লঙ্কান এই কোচের পরামর্শেই নিজেকে টেস্টের জন্য প্রস্তুত করে আসছেন তিনি। দলে সুযোগ পাওয়ার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এবাদত বলেছেন,

'যখন আমি ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ড গিয়েছিলাম, তখন উনি (ওয়ালশ) আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে। গত দুই বছর এইচপিতে লাল বলে কাজ করেছিলাম। চম্পাকাও আমার সাথে কাজ করেছে, উনাদের দুইজনের সাথেই ভালো কাজ করেছিলাম। চম্পাকাও আমাকে বলেছিল যে, তুমি একজন ভালো টেস্ট বোলার হবে। সেভাবে মানসিক ভাবে রেডি হও এবং লাল বলে অনুশীলন কর।'
নিউজিল্যান্ডের উইকেট যে যথেষ্ট পেস সহায়ক হবে সেখানে প্রথমবার সফর করেই বুঝতে পেরেছেন এবাদত। টেস্ট দলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়ার পর কিউইদের মাটিতে ভালো করার জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি। এক্ষেত্রে গতির থেকেও ধারাবাহিকতার দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এই পেসার। তাঁর ভাষ্যমতে,
'২০১৬ সালে যখন নিউজিল্যান্ড গিয়েছিলাম তখনই উপলব্ধি করতে পেরেছি। উইকেট সেখানে পেসারের পক্ষে কথা বলে। টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছি, এবার চেষ্টা করব ধারাবাহিকভাবে ভালো করার, গতি তো বড় বিষয় না। আমি যদি ভালো বল করতে পারি, ভালো জায়গায় করতে পারি, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন ভালো লেন্থ খুঁজে পাবেন, তাহলে গতি কার্যকরী হবে।'
অবশ্য টেস্ট স্কোয়াডে যে ডাক পাবেন সেই ব্যাপারে মানসিকভাবে কিছুটা প্রস্তুত ছিলেন এবাদত। আর এবার চূড়ান্ত ঘোষণা আসার পর স্বাভাবিকভাবেই বেশ উৎফুল্ল তিনি। বলেছেন, 'আমি আসলে টেস্ট টিমের জন্যই মূলত রেডি ছিলাম। মেন্টালি ওভাবেই প্রস্তুত ছিলাম যে টেস্ট খেলব। আলহামদুলিল্লাহ যে আমি টেস্টেই সুযোগ পেয়েছি।'
উল্লেখ্য দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ রবি পেসার হান্টের আবিষ্কার এবাদতহোসেন। এখন পর্যন্ত প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে মোট ১৯টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। যেখানে ২৮.৯৪ গড়ে শিকার করেছেন ৫৯টি উইকেট। এবারের বিপিএলে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে খেলেছেন এই ডান হাতি।