মুশফিকদের অসহায় বানিয়ে দিয়েছিলেন হেলস-রুশো

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
অ্যালেক্স হেলস এবং রাইলি রুশোর ব্যাটিং তান্ডবের সামনে এক পর্যায়ে নিজেদের অসহায় মনে হয়েছিল ভাইকিংস দলপতি মুশফিকুর রহিমের। প্রতিপক্ষ ২৪০'র কাছাকাছি পুঁজি পেলেও তাঁদের ২০০-২১০র মধ্যে আটকাতে পারলে ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো বলে মনে করেন তিনি।
শুরুতে ক্রিস গেইলকে ফিরিয়ে দিলেও হেলস এবং রুশোর সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ভাইকিংস বোলাররা। হেলস কোন সুযোগ না দিলেও রুশোকে তার সেঞ্চুরির আগেই ফেরানোর সুযোগ ছিল তাঁদের। কিন্তু ক্যাচ মিস করে তাঁকেও শতক গড়ার সুযোগ করে দেয় মুশফিক বাহিনী।

মুশফিক মনে করেন, টি-টুয়েন্টিতে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা রান করলে যেকোন দলের জন্য বড় স্কোর পাওয়া সহজ হয়ে যায় যেটা রংপুরের ক্ষেত্রে হয়েছে। সেই সঙ্গে মাঠে শিশিরের কথা ভেবে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই দলপতি।
'অসহায় তো অবশ্যই মনে হয়েছে নিজেদের। সত্যি বলতে এতো রান তাঁদের থেকে আশা করিনি। একটা দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুইজন বা তিনজন যখন অবদান রাখে তখন অবশ্যই বড় স্কোর হবে। আমরা জানতাম এই মাঠে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে হবে আমাদের।
'শিশিরের কথা ভেবেই আমরা বোলিং নিয়েছিলাম। চিন্তা ছিল বাড়তি ২০ রান হলেও যেন আমরা করতে পারি। ফিল্ডিংয়েও ক্যাচ মিস হয়েছে আমাদের। ক্যাচ মিস আপনাকে এই পরিস্থতিতে আরও পেছনে ঠেলে দেয়। তাঁদের ২০০-২১০'র মধ্যে আটকাতে পারলে ম্যাচটার ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো।'
দলীয় ৬ রানে ক্রিস গেইলকে হারালেও ১৭৪ রানের জুটি গড়ে রংপুরের ম্যাচের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন অ্যালেক্স হেলস এবং রাইলি রুশো। হেলস ১০০ করে ফিরলেও রুশো অপরাজিত থাকেন ১০০ রানে। ২৪০ রানের পাহাড় সমান লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় মুশফিকরা ৭২ রানের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে শেষ পর্যন্ত।