বৃষ্টি আঈনে সিরিজে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তানের সামনে দারুণ একটি সুযোগ ছিল সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও ভালো সূচনা করেছিল দলটি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস এবং রিজা হেন্ড্রিক্সের নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ের পর বৃষ্টি বাঁধায় ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে শেষ পর্যন্ত ১৩ রানে হারতে হয় পাকিস্তানকে। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
এদিন প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে ওপেনার ফখর জামানের উইকেটটি হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৩২ রান যোগ করেন বাবর আজম এবং ওপেনার ইমাম উল হক। দলীয় ১৩৬ রানে বাবর (৬৯) ডেল স্টেইনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লেও মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ইমাম।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন মিলে যোগ করেন ৮৪ রান যেখানে হাফিজের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৫২ রান। দলীয় ২২০ রানে হাফিজ ফিরলেও শোয়েব মালিককে সঙ্গে নিয়ে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে শতক তুলে নেন ইমাম। শতক হাঁকানোর পর অবশ্য আর ইনিংস লম্বা করতে পারেন নি এই ওপেনার।
১০১ রানে তাবরাইজ শামসিকে উইকেট ছুঁড়ে দেন তিনি। মালিক এবং ইমাদ মিলে জুটি বেঁধে দলকে ৩০০ রানের উপর নিয়ে গেলেও ৩১ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মালিক। শেষ পর্যন্ত ইমাদের ২৩ বলে ৪৩ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৭ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ডেল স্টেইন এবং কাগিসো রাবাদা নেন ২টি করে উইকেট।

৩১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৩ রান যোগ করেন হাশিম আমলা এবং কুইন্টন ডি কক। হাসান আলি ২৫ রান করা আমলাকে সাজঘরে ফেরানোর খানিক পর ব্যক্তিগত ৩৩ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়েন আরেক ওপেনার ডি কক। ১৬.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৮৮ রান তোলার পর ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি।
বৃষ্টির কারণে ঘন্টা খানেক পর আবারও খেলা শুরু হলে পাকিস্তানের বোলারদের বিপক্ষে দেখে শুনে খেলতে থাকেন ফাফ ডু প্লেসিস এবং রিজা হেন্ড্রিক্স। ফাফ ???ীর গতিতে ব্যাট চালালেও হেন্ড্রিক্স দ্রুত স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন। ৩৩ ওভারে ২ উইকেটে ১৮৭ রান স্কোরবোর্ডে তোলার পর আবারও ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি,।
এরপর আর বৃষ্টির কারণে কোন বল মাঠে গড়ায় নি। পাকিস্তানের চেয়ে ১৩ রানে এগিয়ে থাকায় ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জয়ী ঘোষণা করা হয় স্বাগতিকদের। রিজা হেন্ড্রিক্স ৯০ বলে ৮৩ এবং ফাফ ৪২ বলে ৪০ রান করে ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন। হাসান আলি পাকিস্তানের পক্ষে একমাত্র উইকেটটি শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
পাকিস্তানঃ ৩১৭/৬ (৫০ ওভার)
(ইমাম ১০১, বাবর ৬৯), (স্টেইন ২/৪৩)
দক্ষিণ আফ্রিকাঃ ১৮৭/২ (৩৩ ওভার)
(হেন্ড্রিক্স ৮৩, ডু প্লেসিস ৪২) (হাসান ১/৩৩)