মুশফিকদের দ্বিতীয় জয়, হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে খুলনা

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আরও একটি রোমাঞ্চকর ম্যাচ উপহার দিল বিপিএল। শেষ ওভারের নাটকীয়তার পর সুপার ওভারে খুলনা টাইটান্সকে ১ রানে হারিয়ে দারুণ জয় তুলে নেয় চিটাগাং ভাইকিংস। আর এই পরাজয়ের হারের বৃত্তেই থাকতে হচ্ছে রিয়াদের দলকে। সুপার ওভারে মুশফিকদের ছুঁড়ে দেয়া ১২ রানের লক্ষ্যে মাত্র ১১ রান তুলতে সক্ষম হয় খুলনা।
সুপার ওভারের আগে শেষ ২ ওভারে ২৩ রান দরকার ছিল ভাইকিংসদের। জুনায়েদ খান বোলিংয়ে এসে ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান দিলে ভাইকিংসদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায় সমীকরণটি। কিন্তু শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসা আরিফুল হককে ছক্কা হাঁকিয়ে ভাইকিংসদের আশা দেখান নাঈম। যদিও ওভারের তৃতীয় বলে তাঁকে ফিরতে হয়ে সাজঘরে।
তখনও ৩ বলে ১৩ রান প্রয়োজন ভাইকিংসদের। সেসময় পর পর দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের রোমাঞ্চ ফিরিয়ে আনেন ফ্রাইলিঙ্ক। শেষ বলে অবশ্য রান আউট হন এই ব্যাটসম্যান। ফলে ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে।
এর আগে ১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ভাইকিংস শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা পাকিস্তানী পেসার জুনায়েদ খান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই আঘাত হেনেছেন এই পাকিস্তানী পেসার। আফগানিস্তানের বিধ্বংসী ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদকে ১০ রানে সাজঘরে ফেরেন এই পাকিস্তানী বোলার।

শেহজাদকে শুরুতে হারালেও পাওয়ার প্লেতে ভালোই খেলেছেন ইয়াসির আলি এবং ক্যামেরন ডেলপোর্ট। তবে পাওয়ার প্লে শেষ না হতেই ভুল করে বসেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ডেলপোর্ট। তাইজুল ইসলামকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ব্রাথওয়েটের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
দুই উইকেট হারিয়ে বসা ভাইকিংসদের পক্ষে পরবর্তীতে হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিক এবং তরুণ ইয়াসির আলি চৌধুরী। দুজন মিলে দেখে শুনে খেল দলকে এগিয়ে নিয়ে গেলেও দলীয় ৮৬ রানে সাজঘরে ফেরেন ইয়াসির, এর এক রান পরই বিদায় নেন রাজাও।
এক পর্যায়ে মনে হয়েছিল সহজেই জয় তুলে নিবে খুলনা। কিন্তু বোলারদের নৈপুণ্যে ১৫ ওভারের পর ঠিকই ম্যাচে ফেরে ফিরে খুলনা। দলীয় ১১৯ এবং ১২১ রানে মুশফিকে এবং মোসাদ্দেক বিদায় নিলে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। এরপরই শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে।
এদিন চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) আসরের প্রথম জয় পেতে চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্স। ভাইকিংস দলপতি মুশফিকুর রহিমের আমন্ত্রণে এদিন প্রথমে ব্যাট করে ডেভিড মালানের সর্বোচ্চ ৪৫ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের পুঁজি পায় রিয়াদ বাহিনী।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
খুলনা টাইটান্স ১৫১/৬ (২০ ওভার)
(রিয়াদ ৩৩ মালান ৪৫), (সানজামুল ২/৩৭)
চিটাগাং ভাইকিংসঃ ১৫১/৮ (২০ ওভার)
(মুশফিক ৩৪, ইয়াসির আলি ৪১), (ব্রাথওয়েট ২/৩০)
সুপার ওভারঃ
চিটাগাং ভাইকিংসঃ ১১/১ (১ ওভার)
খুলনা টাইটান্সঃ ১০/১ (১ ওভার)