|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ বিপিএলের অভিষেক ম্যাচেই কুমিল্লা ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান পেশাদারিত্ব নিয়ে এসেছেন। ম্যাচের প্রথম বল থেকেই দলের সকল সদস্যদের ম্যাচে সম্পৃক্ত রেখেছেন, সতীর্থদের সামর্থ্যের শতভাগ বের করে নেয়ার চেষ্টা করেছেন।

অভিষেক ম্যাচে জয় দিয়ে শুরু করা কাপ্তান স্মিথ কুমিল্লার হয়ে প্রথম ম্যাচেই অনেকটা মানিয়ে নিয়েছেন। সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দলের জয়ের দিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও তরুণ খেলোয়াড় সবাইকেই সমান তালে পরিশ্রম করিয়েছেন। 

স্মিথের অধীনে খেলছেন তামিম, মালিক ও আফ্রিদির মত তারকারা ক্রিকেটাররা। কিন্তু কাপ্তান স্মিথের চোখে সবাই সমান। কুমিল্লার কোচ সালাউদ্দিনের ভাষায়,

'তামিমের খুব কষ্ট হয়েছে আজকে। ও আমাকে বলেছে,‘স্যার ও আমাকে এতো দৌড়াচ্ছে!’ সবাইকে ও খুব সম্পৃক্ত রাখছে। এটা খুব ইতিবাচক। ছেলেদের কষ্ট হবে বুঝতে পারছি এখনই। যারা ভালো ফিল্ডার বাইরে তাদের অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হবে। ও প্রত্যেকটা খেলোয়াড়কে অনেক বেশি  সম্পৃক্ত  করে রাখছে। এটা খুব ভালো দিক।'

কোচ সালাউদ্দিনের সাথে অধিনায়কের সম্পর্কটা এখনও জমে ওঠে নি। দুই দিন আগে বাংলাদেশে পা রেখে একটি অনুশীলন সেশন করেই ম্যাচে নামতে হয়েছে তাঁকে। স্থানীয় কোচ সালাউদ্দিন ও বিদেশি অধিনায়কের সম্পর্কটা জমে ওঠার জন্য দুই পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন সালাউদ্দিন। সেটা সময়ের সাথে সাথেই অর্জিত হবে বলে বিশ্বাস কুমিল্লার প্রধান কোচের। 

'ওর সাথে খেলোয়াড়দের যোগাযোগ কেমন হচ্ছে সেটা বলা কঠিন। আমাকে হয়তো মানিয়ে নিতে হবে। স্মিথকেও মানিয়ে নিতে হবে। কারণ দেশি এবং বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয় করা কঠিন। একটু কঠিন হলেও দলের স্বার্থে আমাদেরকে মানিয়ে নিতে হবে। আমার কাছে মনে হচ্ছে ও অনেক ইতিবাচক। এবং সে খেলাটা খুব ভালো চিন্তা করে। যদি খেলা ১০ ওভারে থাকে তাহলে ও দুই ওভার পর কি হবে সেটা নিয়েও চিন্তা করে। তার এদিকটা দেখে বেশ ভালো লাগছে।

'ও অনেক বেশি অভিজ্ঞ। পাশাপাশি এ টুর্নামেন্টে ভালো খেলার জন্য ও নিজেও বেশ উৎগ্রীব আছে। সব দিক মিলিয়ে আমাদের নিজেদের ওর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। তাকেও মানিয়ে নিতে হবে। এটা আমরা যত দ্রুত সম্ভব ও তাড়াতাড়ি করতে পারব ততো দলের জন্য ভালো হবে। দল যখন জিতে তখন এগুলো তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। দল যখন হারে তখন এগুলো দেরি হয়।'