আর্থারের কাঠগড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সেঞ্চুরিয়ন এবং কেপ টাউন টেস্টের উইকেটকে দীর্ঘ ফরম্যাটের জন্য উপযোগী নয় বলে আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ মিকি আর্থার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টের দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত বল বেশ বাউন্স করছিলো এবং কয়েকবার ব্যাটসম্যানদের শরীরেও আঘাত করেছিলো।
প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস ২২৬ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেললেও বলের আঘাত সইতে হয়েছিলো তাঁকেও। শুধু তাই নয়, ৭৫ রান করা টেম্বা বাভুমা তাঁর পাঁজরে ব্যাথা পেয়েছিলেন এই অতিমাত্রায় বাউন্সের কারণে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরাই যেখানে বাউন্সে গলদঘর্ম হয়েছেন সেখানে সফরকারী পাকিস্তানিদের কি হবে সেই দুশ্চিন্তাই মূলত জেঁকে ধরেছে আর্থারকে। উইকেট প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন,

'সত্যি বলতে আমি একটু হতাশ। ২০১০ সালের পর থেকে আমি দক্ষিণ আফ্রিকায় আসিনি। এবার সেঞ্চুরিয়ান ও কেপটাউনের পিচ দেখে একটা কথাই মনে হয়েছে, টেস্ট খেলার জন্য দুই পিচের একটিও উপযুক্ত নয়।'
এই ধরণের পিচে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা যথেষ্ট কঠিন বলেও উল্লেখ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান আর্থার। দ্বিতীয় দিন কমপক্ষে সাতবার মাঠে আসতে হয়েছিলো প্রোটিয়াদের ফিজিওকে। এই বিষয়টি নিয়েও ভাবনায় আছেন পাকিস্তান কোচ। উইকেটের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেছেন,
'পিচের আচরণ খুবই অদ্ভুত। দ্বিতীয় দিনে কমপক্ষে সাতবার ফিজিওকে মাঠে আসতে হয়েছে। চতুর্থ কিংবা পঞ্চম দিনে এরকম হলে মানা যায়। কিন্তু এখানে তো প্রথম ইনিংসে ব্যাট করাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।'
এদিকে পাকিস্তান কোচের সাথে একমত প্রোটিয়া মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান টেম্বা বাভুমাও। তাঁর মতে এই উইকেটে ব্যাটিং করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ব্যাটসম্যানদের জন্য। তবে এরপরেও পিচটিকে খুব বেশি কঠিন কিংবা ভয়ঙ্কর হিসেবে বিবেচনা করতে নারাজ তিনি। অন্তত এখানে ব্যাটিং করা অসম্ভব কিছু হবে না জানিয়ে তিনি বলেছেন,
'পিচটি চ্যালেঞ্জিং, এটা সত্যি। সুপারস্পোর্ট পার্কের থেকে এই উইকেট কিছুটা দ্রুত। তবে এখানে ব্যাটিং করা অসম্ভব না। অতিরিক্ত গতির কারণে এখানে কিছু বল আপনার শরীরে লাগবে ঠিকই, সেটার সাথে মানিয়ে নিতে হবে। তবে আমি এটিকে ভয়ঙ্কর বলতে পারি না। ফাফ (ডু প্লেসিস) এবং আমি এখনও খেলছি অনায়াসেই।'