নাঈমের একের ভেতর তিন

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
তরুণ স্পিনার নাঈম হাসান টেস্ট ক্রিকেটেই ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি বোলিংয়ের স্বাদ খুঁজে পান। টেস্ট ক্রিকেটের চরিত্রের বিচিত্রতা যে কোন ক্রিকেটারকে সকল পরিস্থিতির জন্য তৈরি করে দেয়, বিষয়টি ক্যারিয়ারের শুরুতেই বুঝতে পেরেছেন ১৮ বছর বয়সী নাঈম হাসান।
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নেয়া, ব্যাটসম্যানকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলা কিংবা দ্রুত রান তোলা থেকে বিরত রাখা, ক্রিকেটের সব ধরণের পরিস্থিতিই মোকাবেলার সুযোগ পাওয়া যায় টেস্ট ক্রিকেটে। যে কোন ক্রিকেটারের সত্যিকারের পরীক্ষা নিতে থাকে এই ফরম্যাট। তাই ভিন্ন ফরম্যাটের চাহিদা মত নিজের বোলিং বদলে ফেলতে চান না নাঈম, বরং মনোযোগ বাড়াতে চান টেস্ট বোলিংয়েই।

গত নভেম্বরে উইন্ডিজদের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেক হওয়া বাংলাদেশি অফ স্পিনার নাঈম ক্রিকফ্রেঞ্জিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমি বলব, যে টেস্টে ভালো খেলতে পারবে, সে সব ফরম্যাটে ভালো খেলতে পারবে। কারণ টেস্ট ম্যাচে এমন অনেক অবস্থা তৈরি হয় যেখানে অনেক সময় দেখা যায় ব্যাটসম্যান একদম ডিফেন্স করে খেলছে।
'তখন আপনি এক রকম বোলিং করবেন। আবার অনেক সময় দেখবেন ওয়ানডের মতন সিঙ্গেল নিয়ে খেলছে, বাজে বল মারছে। তখন এক রকম বোলিং করতে হবে। আবার অনেক সময় দেখবেন ব্যাটসম্যান ক্রমাগত বড় শট খেলছে। তখন আপনাকে টি-টুয়েন্টির বোলিং করতে হবে। তিন ফরম্যাটের খেলাই কিন্তু টেস্টে আছে। যারা বলে ওয়ানডে বোলার, টেস্ট বোলার... এইগুলো সব ভুল।'
নাঈম তাঁর ছোট্ট টেস্ট ক্যারিয়ারে ইতিমধ্যেই নিজের বোলিং জাদু দেখিয়েছেন। বিশ্বে সবচেয়ে কনিষ্ঠ বোলার হিসেবে অভিষেকে পাঁচ উইকেট নেয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি।
ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেও বল হাতে সফল নাঈম। চারদিনের টেস্টে দুই নিয়েছেন আট উইকেট, যেখানে একটি ছিল দেশের ক্রিকেটে অফস্পিনার হিসেবে সেরা বোলিং (৮/৪৭)। পারফর্মেন্স দিয়ে জাতীয় দলের নির্বাচকদের নজরেও এসেছিলেন সল্প সময়েই।
টেস্ট অভিষেক হলেও ওয়ানডে কিংবা টি-টুয়েন্টি অভিষেক এখনও হয়নি নাঈমের। তবে ক্রিকেটের সব ফরম্যাটের স্বাদই টেস্টে পেয়ে থাকেন এই তরুণ অফস্পিনার।