একজন সাইফুদ্দিনের সাফল্যের গল্প

ছবি: মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
প্রথম ম্যাচে ছিলেন ব্যাট হাতে উজ্জ্বল। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে বল হাতেও কারিশমা দেখালেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। যাকে কিনা এরই মধ্যে মাশরাফির উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা শুরু করে দিয়েছেন কোচ স্টিভ রোডস।
হয়তো রোডসের কথার যথাযথ প্রমাণ দিতেই যেন মরিয়া হয়ে ছিলেন তরুণ এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। আর সেই প্রমাণের উপলক্ষ হিসেবে তিনি বেঁছে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চলমান জিম্বাবুয়ে সিরিজটিকেই।

মিরপুরে অনুষ্ঠিত প্রথম ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে বিপর্যয় থেকে তুলে এনেছিলেন। যদিও সেবার ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরির কারণে ম্যাচ সেরা হতে পারেননি। তবে চট্টগ্রামে খেলতে এসে ম্যাচ সেরা হয়েই দেখিয়ে দিলেন সাইফুদ্দিন। জিম্বাবুয়ের তিন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাসাকাদজা, উইলিয়ামস এবং চিগুম্বুরাকে আউট করে একজন যোগ্য পেস বোলিং অলরাউন্ডারের ভূমিকা পালন করেন তিনি।
তবে মাঠে দারুণ পারফর্ম করে আসার পর সংবাদ সম্মেলনে যেন একেবারে ভিন্ন এক সাইফুদ্দিনকেই দেখা গিয়েছে। ম্যাচ সেরার পুরষ্কার প্রাপ্ত স্বল্পভাষী এই তরুণ জানিয়েছেন একজন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে বোলিংয়ের দিকেই বেশি মনোযোগী তিনি। তবে সাথে উপরি পাওয়া হিসেবে ব্যাটিংটাও ভাল হচ্ছে বলে সন্তোষ ঝরেছে তাঁর কণ্ঠে,
'হ্যাঁ অবশ্যই, আমাকে বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে গণ্য করা হয়। আমার প্রথম স্কিল অবশ্যই বোলিং। উইকেট পেলে ও মিতব্যয়ী বোলিং করলে অবশ্যই ভাল লাগে। সাথে ব্যাটিংও ভাল হচ্ছে,' সংবাদ সম্মেলনে বলেন সাইফ।
অবশ্য বল হাতে এই সাফল্য যে রাতারাতি পাননি সাইফুদ্দিন সেটি তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। অধ্যবসায় এবং পরিশ্রম তো রয়েছেই, কাজ করেছেন মানসিক শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও। পাশাপাশি সিনিয়র ক্রিকেটারদের পরামর্শও তাঁকে যুগিয়েছে আত্মবিশ্বাসের খোরাক। তাই তো তিনি বলছিলেন,
'হ্যাঁ অবশ্যই আমাকে বোলিং নিয়ে কাজ করতে হয় প্রতিনিয়ত। মানসিক দিক নিয়ে কিছুটা কাজ করেছি। কিভাবে হ্যান্ডেল করতে হয় এইসব। সিনিয়র প্লেয়ার আছে, তাদের পরামর্শ নিয়েছি। আন্তর্জাতিক ম্যাচে কিভাবে বল করা যায় এইসব ব্যাপারে এইগুলো নিয়ে কথা বলেছি। মাত্র একটা ম্যাচ গেল, সামনে আরও ম্যাচ আসবে। আশা করি সামনের ম্যাচ গুলোতেও ভাল করব।'