বিশৃঙ্খলার প্রভাবেই স্কোয়াডে নেই সাব্বির

ছবি: ছবি - ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেস্পন্ডেন্ট ||
এশিয়া কাপের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি সাব্বির রহমানের। আর স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়া সাব্বিরকে শনিবার ডাকা হয়েছে বিসিবি ভবনে।
ফর্মহীনতার পাশাপাশি মাঠ এবং মাঠের বাইরে শৃঙ্খলা রক্ষা না করার কারণেই মূলত এশিয়া কাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের। এদিকে সাব্বিরকে বিসিবি ভবনে ডাকার ব্যাপারটি নিয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
আর মিটিং শেষেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন মাঠ এবং মাঠের বাইরের কর্মকান্ডের প্রভাবই পড়েছে এশিয়া কাপের স্কোয়াড ঘোষণার ক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে সাব্বিরের সঙ্গে ডিসিপ্লিন কমিটির বৈঠক হবেও বলে জানান তিনি। পাপনের ভাষায়,

'শৃঙ্খলা কমিটি থেকে ডাকা হয়েছে সাব্বিরকে। সুতরাং সেখানে আসার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এখন সে স্কোয়াডে নেই। অবশ্যই এর একটি প্রভাব তো আছেই। ওরা (ডিসিপ্লিনারি কমিটি) কথা বলেই নিবে।
কথা না বলে কাউকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়াটা ঠিক হবে না। এই কারণে ওরা তাঁকে (সাব্বির) ডেকেছে। তাঁর সাথে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবে। আমি জানি যে যেটা হওয়া উচিৎ সেই সিদ্ধান্তই নেয়া হবে।'
এদিকে সাব্বিরের পাশাপাশি আরও দুই ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এবং নাসির হোসেনকেও একই দিন বিসিবি ভবনে ডেকেছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি। পাপন আরও বলেন,
'ওরা আমাকে বললো তিনজনকে ডাকা হয়েছে। এর মধ্যে মোসাদ্দেকও রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধেও যেহেতু একটি শৃঙ্খলা ইস্যু এসেছে সুতরাং তাঁকেও ডাকা হয়েছে। আর তিন জনের মধ্যে আরেকজন হল নাসির। তাঁকেও ডাকা হয়েছে।'
এছাড়াও পাপন আরও বলেন, সাব্বির-নাসিররা এখন আর জুনিয়র নেই। তাই তাদের ভুলকে ছোটদের ভুল হিসেবে দেখা হবে না। তিনি বলেন,
'সাব্বির, নাসিরদের জুনিয়র বলার কোন কারণ নেই। জুনিয়র হল শান্ত, মিরাজ এরা। এরা বুড়া হয়ে গেছে। এখনো যদি ওদের জুনিয়র বলেন, তিন বছর/চার বছর ধরে খেলতেছে একেকজন। জুনিয়র প্লেয়ার যদি বলেন তাহলে শান্ত। (মিরাজও জুনিয়রঃ জালাল ভাই)। বাকিদের জুনিয়র বলার কারণ নাই।'