'ঠুঁটো জগন্নাথ' বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড

ছবি: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড

ওয়ানডে ফরম্যাটে গত কয়েক বছরে যে যথেষ্ট উন্নতি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তা তাদের পরিসংখ্যানের খেরো খাতা ঘাঁটলেই বোঝা যায়। কিন্তু এরপরেও দেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন এখনও খুব বেশি সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠেনি। আর এর প্রমাণ পাওয়া যায় টাইগারদের টেস্ট পারফর্মেন্সের দিকে তাকালেই।
দীর্ঘ ফরম্যাটের ক্রিকেটে একেবারেই নড়বড়ে অবস্থান বাংলাদেশের। দেশের মাটিতে কিছুটা সাফল্য থাকলেও বিদেশে তা একেবারেই কম সাকিবদের। আর এই কারণে দেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন বৃদ্ধি করতে এবং টেস্টে উন্নত ঘটাতেই অঞ্চল ভিত্তিক অ্যাকাডেমি গঠন করার পরিকল্পনা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
কিন্তু সেই পরিকল্পনা পর্যন্তই সার, এর বাস্তবায়ন তো দূরের কথা কোনও রূপ পদক্ষেপও এখন পর্যন্ত নিতে দেখা যায়নি বোর্ডের। রিজিওনাল ক্রিকেট কমিটির সদস্যদের যেন এই ব্যাপারে মাথা ব্যাথা নেই বললেই চলে।

সুতরাং বলা যায় এক্ষেত্রে বিসিবির ভূমিকা যেন অনেকটাই ঠুঁটো জগন্নাথ স্বরূপ। অর্থাৎ বোর্ডের অর্থ, যশ সবকিছুই রয়েছে কিন্তু সঠিক সময়ে তারা সেগুলো কাজে লাগাতে অক্ষমতা প্রকাশ করছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ম্যানেজার এবং সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন বিসিবির এইরূপ আচরণে যারপরনাই হতাশ। কমিটির সদস্যরা নিজেরা সক্রিয় না থাকলে কোনও কিছুই সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন সুজন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
'রিজিওনাল একটি কমিটি করা আছে। কিন্তু ওনাদেরকেও (কমিটির সদস্য) তো এখানে একটিভ হতে হবে। ওনারা যদি একটিভ না হয় তাহলে কিছু হবে না।'
রিজিওনাল ক্রিকেটের এই কমিটিতে রাখা হয়নি সুজনকে। ফলে এই ব্যাপারে খুব বেশি কিছু করার সুযোগ থাকছে না তাঁর হাতে। তবে এরপরেও দেশের ক্রিকেটের কল্যাণের জন্য তিনি মনেপ্রাণে চাইছেন যেন দ্রুতই এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হয়। তাঁর ভাষায়,
'এই কমিটিতে তো আমি নেই বা এটি আমার আওতাভুক্তও না। তবে আমি চাই যে যত তাড়াতাড়ি যেন এটি উদ্যোগ নিয়ে শুরু করা হয়। ওনারা যদি একটাও শুরু করতো তাহলে একটি দেখে আমরা হয়তো দশটি করতে পারতাম বা শিখতে পারতাম।'