মিডিয়ার মিথ্যাচারের শিকার হ্যান্ডসকম্ব

ছবি:

দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে বল টেম্পারিংয়ের কারণে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার এবং ক্যামেরন ব্যানক্রফট। সেই সঙ্গে দলের কোচ ড্যারেন লেহম্যানকেও দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হয় দলটির।
এই চার জন ছাড়াও আরও এক অজি ক্রিকেটারের উপর টেম্পারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিলো। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ডানহাতি মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যান পিটার হ্যান্ডসকম্ব।
একাদশে না থাকলেও দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে দলে ছিলেন তিনি। আর সেই ম্যাচে টেম্পারিং কান্ড ঘটার সময় মাঠে ওয়াকি টোয়াকি নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন হ্যান্ডসকম্ব।
কিন্তু তার দাবি, মিডিয়াই নাকি বল টেম্পারিংয়ের ওসব ভিডিও এডিট করে মানুষকে প্রভাবিত করেছিল তার ব্যাপারে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ওই ঘটনার পরে ব্যানক্রফটের সাথে কিছু নিয়ে হাসাহাসি করছেন হ্যান্ডসকম্ব।

আর এই ফুটেজের আগের ফুটেজে দেখা যায়, ওয়াকিটকিতে হ্যান্ডসকম্বকে কি যেন বলছেন কোচ লেহম্যান। কোচের নির্দেশ ব্যানক্রফটের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন, হ্যান্ডসকম্বের প্রতি অভিযোগ ছিল এমনটাই। হ্যান্ডসকম্ব বলেন,
‘মিডিয়া যেভাবে সব এডিট করেছিল সেটা দেখে রীতিমত অবাক। ২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে নেওয়া ফুটেজগুলো তারা একসাথে করে দেখিয়েছে। একজন বাথরুমে যাবে বলে আমি তার বদলি হিসেবে নেমেছিলাম।
ব্যানক্রফট আর আমি দুজনেই শর্ট লেগে দাড়াই সবসময়য়, এজন্যই দুজন পাশাপাশি ছিলাম। আর হাসাহাসির ব্যাপারটা ছিল কৌতুক নিয়ে, এর সাথে বল টেম্পারিংয়ের কোনো সম্পর্কই ছিল না! সবই আমাকে দোষী দেখানোর চেষ্টা।’
তবে স্মিথ-ওয়ার্নারদের অনুপস্থিতিতে দলে জায়গা পাকা করার সুযোগ রয়েছে তার। কিন্তু এরকম ভাবে সহজেই সুযোগ লুফে নিতে খুব একটা খুশি নন তিনি। তিনি আরও বলেন,
‘এভাবে দলে ফিরে আসাটা খুব একটা খুশির ব্যাপার নয়। তবে সুযোগ পেলে সেটার সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর চেষ্টা থাকবে। টেস্ট দলে থিতু হওয়াই এখন প্রধান লক্ষ্য।’