গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০১৭ সালের এপ্রিলে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচটিতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরেছিলো ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

এবার বাংলাদেশ এবং উইন্ডিজদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এক বছর পর আবারো এই ভেন্যুতে ফিরছে সীমিত ওভারের ক্রিকেট। তবে এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে কিছুটা স্বস্তি পেতেই পারে বাংলাদেশ। 

কেননা ঐতিহ্যগতভাবে এখানকার উইকেট কিছুটা স্লো এবং লো হওয়ায় এখান থেকে সুবিধা পাবেন স্পিনাররা। ফলে পোয়াবারো বলা চলে সাকিব, মিরাজদের। সেক্ষেত্রে ক্যারিবিয়ানদের স্পিন দিয়েই ঘায়েল করতে চাইবে তারা। 

তার ওপর এই মাঠে বাংলাদেশ মাত্র একটি ম্যাচ খেলে সেটিতেই জয় পেয়েছিলো। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬৭ রানের দুর্দান্ত একটি জয় পেয়েছিলো টাইগাররা। ফলে আজ তাদের অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে সেই জয়টিও।

এদিকে গায়ানার এই মাঠে এক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত না হলেও ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (সিপিএল) এবং ঘরোয়া ক্রিকেট লীগের বিভিন্ন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর সে সকল ম্যাচের প্রায় প্রত্যেকটিতেই স্পিনাররা সুবিধা পেয়েছেন। 

তবে জানা গেছে আজকের ম্যাচের আগে গায়ানাতে জোর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে টসে যারা জিতবে তারা শুরুতে বোলিং নিলে সুবিধা পাবে উইকেট থেকে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

সুতরাং সবদিক বিবেচনা করে বলা যায় গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামের উইকেট বোলারদের জন্য সুবিধাই বয়ে আনবে।তবে ভিন্ন ব্যাপারও হতে পারে। উইন্ডিজ দলে যেহেতু ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, আন্দ্রে রাসেলদের মতো হার্ড হিটাররা রয়েছেন তাদের সুবিধার্থে ব্যাটিং উইকেটও বানাতে পারেন কিউরেটরা। যদিও ম্যাচ শুরুর আগে পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।