হন্তারকের নাম যখন ডিউক বল

ছবি:

দেশের মাটিতে সাধারণত এসজি অথবা কুকাবুরা বল দিয়ে খেলে থাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আর সেই কারণে ডিউক বলে খেলতে খুব একটা অভ্যস্ত নয় তারা। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সেই ডিউক বলেই টেস্ট সিরিজ খেলতে হয়েছে টাইগারদের।
আর এর ফলাফল যে কি হয়েছে সেটি তো এর মধ্যে জেনে গেছেন সকলেই। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে স্বাগতিকদের কাছে ১৬৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরে ধবল ধোলাইয়ের লজ্জার মুখে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।
মূলত কুকাবুরা এবং এসজি বলের থেকে ডিউক বল বেশি সুইং এবং বাউন্স করে বিধায় বিপত্তিটি হয়েছে। এই বলেই ক্যারিবিয়ান পেসারদের একের পর এক সুইং এবং শর্ট ডেলিভারিতে নাকাল হতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।
ম্যাচ শেষে তাই সাংবাদিকদের সামনে টাইগার ওপেনার তামিম ইকবালও জানিয়েছেন ডিউক বলই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলো অনেকখানি। যদিও নিজেদের বিবর্ণ ব্যাটিংয়ের কোনও অজুহাত দিতে চাইছেন না তিনি। তামিম বলেন,

'এখানে একমাত্র ব্যতিক্রম হলো আমরা ডিউক বলে খেলেছি। এই বলে আমরা চার বছর পর খেললাম। কুকাবুরা বলের থেকে এটি অনেক বেশি সুইং এবং করে, এটিই একমাত্র পার্থক্য। তবে এটি আমাদের খারাপ পারফর্মেন্সের জন্য কোনও অজুহাত হতে পারে না।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটে ভালো খেলতে হলে ধৈর্য ধরে এবং সময় নিয়ে খেলতে হয়। আর তেমনটি করতে পারলে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব বলে বিশ্বাস করেন তামিম। কিন্তু এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে। এই কারণেই শোচনীয় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে টাইগারদের। তামিমের ভাষ্যমতে,
'আমি নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ভিন্ন কন্ডিশনে খেলেছি। এই ধরণের উইকেটে, আপনাকে অনেক বেশি সময় দিতে হবে। আপনি এখানে শুরুতেই বড় শট খেলতে পারবেন না। তবে আমি মনে করি আমাদের সবথেকে বড় ব্যর্থতা ছিলো ওদের (উইন্ডিজ) ৬০-৭০ ওভার মাঠে রাখতে না পারা। তাদের পেস বোলাররা টানা পাঁচটি টেস্ট খেলেছে। সুতরাং তারা ক্লান্ত হতে পারতো।'
ম্যাচটিকে আরও দীর্ঘ করতে পারলে হয়তো জয় ছিনিয়ে আনাও সম্ভব হতো বলে বিশ্বাস করেন তামিম। কিন্তু খুব বেশি ওভার খেলতে না পারার কারণে কপাল পুড়েছে দলের। এই প্রসঙ্গে টাইগার ওপেনার বলছিলেন,
'আমরা যদি ম্যাচটিকে আরও বড় করতে পারতাম, আমরা হয়তো এটি জিততেও পারতাম। আমরা সকলেই জানি টেস্ট ম্যাচে কঠিন সময় যেমন থাকে তেমনি সহজ সময়ও আসে। কিন্তু আমরা নিজেদের সেই সুযোগটি দেইনি। অ্যান্টিগায় আমরা ২০ ওভারের আগেই অলআউট হয়ে গিয়েছিলাম প্রথম ইনিংসে এবং এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি খুব একটা। আমরা ৪০-৪৫ ওভারের মধ্যেই অলআউট হয়েছি।'