শেহবাগের খুব কাছে তামিম

ছবি:

ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান ভারতের শচীন টেন্ডুলকার। শুধু তাই নয় উপমহাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ওপেনার হিসেবে আধিপত্য বিস্তার করছেন তিনি।
ভারতের হয়ে ওয়ানডেতে করেছেন ১৮৪২৬ রান, যার মধ্যে ১৫৩১০ রান এসেছে ওপেনার হিসেবে খেলে। ১৫৩১০ রান করতে তার লেগেছে মোট ৩৩৪ ম্যাচ।
অবশ্য ওপেনার হিসেবে শচীনের চেয়ে ৫৪ ম্যাচ বেশি খেলেছেন লঙ্কান লিজেন্ড সানাথ জয়সুরিয়া। ৫৪ ম্যাচ (৩৮৮ ম্যাচ) বেশি খেলেও এই উপমহাদেশের ওপেনারদের মধ্যে তার রান ১২৭৪০।
এদিকে উপমহাদেশের ওপেনারদের এই তালিকায় আছে জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবালের নামও। যিনি এখন পর্যন্ত ১৭৯ ম্যাচে দেশের হয়ে করেছেন ৬০১৮ রান।
অবশ্য বাকিরা ওপেনিংয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন পজিশনেও ওয়ানডে খেলেছেন খেলেছেন। আর তামিমই একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি শুধু এখন পর্যন্ত ওপেন ছাড়া অন্য কোথাও ব্যাটিং করেননি।
আর তার জন্য সবচেয়ে বড় রয়েছে সুযোগ এই তালিকায় আরও উপরে উঠে আসার। কারণ অন্তত আর পাঁচ বছর জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে খেলার ক্ষমতা রয়েছে তার।
আর সেটা হলে এই রেকর্ডে তিনি পেছনে ফেলবেন ক্রিকেট কিংবদন্তী ওপেনারদের। বর্তমানে ওপেনারদের মধ্যে রানের দিক দিয়ে তামিমের অবস্থান সাত নম্বরে।

তার আগে এই তালিকায় আছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি, শ্রীলংকার তিলকরত্নে দিলশান, পাকিস্তানের সাইদ আনোয়ার এবং ভারতের ভিরেন্দ্র শেহবাগ।
এক নজরে দেখে নেই উপমহাদেশের সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারী ওপেনারদের
১। শচীন টেনডুলকার (ভারত)- ৩৩৪ ম্যাচ, ১৫৩১০ রান।
২। সানাথ জয়সুরিয়া (শ্রীলংকা)- ৩৮৮ ম্যাচ, ১২৭৪০ রান।
৩। সৌরভ গাঙ্গুলি (ভারত)- ২৪২ ম্যাচ, ৯১৪৬ রান।
৪। তিলকরত্নে দিলশান (শ্রীলংকা)- ১৭৯ ম্যাচ, ৭৩৬৭ রান।
৫। সাইদ আনোয়ার (পাকিস্তান)- ২২০ ম্যাচ, ৮১৫০ রান।
৬। ভিরেন্দ্র শেহবাগ (ভারত)- ২১৪ ম্যাচ, ৭৪১৮ রান।
৭। তামিম ইকবাল (বাংলাদেশ)- ১৭৯ ম্যাচ, ৬০১৮ রান।
৮। উপুল থারাঙ্গা (শ্রীলংকা)- ১৮৩ ম্যাচ, ৫৯০৬ রান।
৯। রোহিত শর্মা (ভারত)- ৯৬ ম্যাচ, ৪৬২৭ রান।
১০। রমিজ রাজা (পাকিস্তান)- ১২৫ ম্যাচ, ৩৯৩৪ রান।