promotional_ad

‘যারা মনে করেন বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব সহজ, আপনারা ভুল রাজ্যে আছেন’

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, ক্রিকফ্রেঞ্জি
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অধীনে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে পারছিল না বাংলাদেশ। ব্যাটার হিসেবে শান্তও ছিলেন অধারাবাহিক। ব্যক্তিগত ও দলীয় পারফরম্যান্সে অধারাবাহিকতা কাল হয়েছে বাঁহাতি ব্যাটারের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শান্ত তাই অকপটে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করা কঠিন। আমার মনে হয়, অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কত্ব করা সহজ।’ শান্তর মতো মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনও মনে করেন, বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করা আসলেই কঠিন।

promotional_ad

ক্রিকেটার হিসেবে শুধু মাঠের খেলায় মনোযোগ রাখলেও অধিনায়কের দায়িত্বটা আরও অনেক বেশি। ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখার পাশাপাশি টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ম্যাচের পরিকল্পনা, অফিসিয়ালসদের সঙ্গে সামলানোতে হয় তাকে। এ ছাড়া নিজের পারফরম্যান্স তো আছেই। সবশেষ কয়েক বছরে বাংলাদেশের অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়েছেন এমন বেশিরভাগ ক্রিকেটারই ছন্দ হারিয়ে চাপে পড়েছেন। দলগতভাবে ভালো ক্রিকেট না খেলার প্রভাবও পড়ে সেই অধিনায়কের উপর।


আরো পড়ুন

আমরা প্রস্তুত, বাকিটা বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে—পাকিস্তান সফর নিয়ে সালাহউদ্দিন

২০ ঘন্টা আগে
মিরপুরে অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা, ক্রিকফ্রেঞ্জি

এমন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই কঠিন হয়ে পড়ে অধিনায়কের কাজটা। বাংলাদেশে অধিনায়কত্ব করা কেন কঠিন? সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নই রাখা হয়েছিল সালাহউদ্দিনের কাছে। বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচ তুলে ধরলেন বাস্তবতা। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাফল্য পাওয়া এই কোচ মনে করেন, সবাই মিলে পারফর্ম করতে না পারার কারণেই অধিনায়কত্বের কাজটা কঠিন হয়ে উঠে।


সালাহউদ্দিন বলেন, ‘প্রথমত আমরা সবাই মিলে পারফর্ম করি না—এটা একটা বড় দিক। আমাদের যদি অনেক ভালো পারফর্মার থাকতো তাহলে অধিনায়কত্ব করা অনেক সহজ হতো। আমাদের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা নেই সেটা আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা নেই সেটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। পারফরম্যান্স খুব তাড়াতাড়ি ওঠা-নামা করে। জাতি হিসেবে আমরা অনেক ইমোশনাল। আজকে ভালো তো কালকে খারাপ—এটা নিতেও তাদের অনেক কষ্ট হয় মাঝে মাঝে। কিন্তু এগুলোর ম্যাচুরিটি চলে আসবে তাড়াতাড়ি।’


অধিনায়ক হলেও কাজের পুরনো স্বাধীনতা না পাওয়া কঠিন করে তোলে নেতার সবকিছুকে। সিনিয়র সহকারী কোচ বলেন, ‘ধরুন, একজন অধিনায়ককে যদি তার পরিকল্পনাটাকে পুরোপুরি করতে না দেন সে যেটা যায়—তখন তাকে কেন আপনি দায় দেবেন। সাধারণত যখন একজন অধিনায়ককে আপনি দায়িত্ব দেবেন তখন তাকে কিন্তু পুরোপুরি স্বাধীনতা দিয়ে দিতে হবে। কারণ সে দলটা চালাবে, তখন সে কিন্তু অনেক দায়িত্ববান হবে। অনেক কিছুই আছে যা ও (অধিনায়ক) নিজে চাইলে করতে পারে না। সবদিক দিয়ে যদি আপনি বিচার করেন অনেক কিছুই বাধা ধরার মধ্যেই থাকে।’


promotional_ad



আরো পড়ুন

টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন শান্ত-হৃদয়, বাদ মিরাজ-তাসকিন

৪ মে ২৫
বাংলাদেশ দলের একাংশ

শান্ত টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব ছাড়ার পর লিটন দাসকে অধিনায়ক করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের ২০ ওভারের ক্রিকেটের নেতৃত্বভার সামলাবেন লিটন। ২০২৪ সালে লিটনের নেতৃত্বে ফাইনাল খেলেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সেবার দলটির প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন সালাহউদ্দিন।


এ ছাড়া সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে লিটন যখন টি-টোয়েন্টি দলকে সামলেছেন তখন কোচিং স্টাফেও ছিলেন তিনি। ফলে খুব কাছ থেকেই অধিনায়ক লিটনকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচ। অধিনায়ক হিসেবে যে ধরনের গুণ থাকা প্রয়োজন তার সবটাই লিটনের মাঝে আছে বলে বিশ্বাস করেন সালাহউদ্দিন। পাশাপাশি লিটনকে সমর্থন দিলে তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন বলেও আস্থা রাখছেন তিনি।


সালাহউদ্দিন বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে যে ধরনের জিনিসগুলো দরকার, যেভাবে দলকে উদ্বুদ্ধ করা, স্ট্র্যাটেজি বলেন—সবদিক থেকেই আমার মনে সে (লিটন) খুবই ভালো। সে চেষ্টা করছে কীভাবে দলকে সামনে এগিয়ে নেয়া যাবে। কারণ একজন অধিনায়কই কিন্তু দলটা চালাবে। আমরা যারা বাইরে আছি, বোর্ডে আছি আসলে আমরা দল চালাবো না—চালাবে কিন্তু অধিনায়ক এবং কোচ। তাদেরকে সমর্থন দিতে হবে, আমরা যারা আছি পাশে আমরা হেল্পিং হ্যান্ড।’


সালাহউদ্দিন সবাইকে এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বাইরে থেকে সহজ মনে হলেও বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করার কাজটা সহজ নয় একেবারেই। তিনি বলেন, ‘তাকে সেই স্বাধীনতাটা দিলে সে ভালো করবে। লিডার কিন্তু দিয়ে বানানো যায় না, সবসময় এটা একটা সহজাত প্রবৃত্তি—সবাই লিডার হতেও পারে না। মনে রাখতে হবে অধিনায়কত্ব যখন কেউ করে সে কিন্তু পুরো বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে, তার উপর অনেক চাপ থাকে। তাকে সেই সমর্থন দেয়াটা কিন্তু আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এবং আপনারা যারা মনে করেন বাইরে থেকে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করা অনেক সহজ—আপনারা আসলে ভুল রাজ্যে আছেন।’


দল হিসেবে ভালো ক্রিকেট না পারলে প্রায়শই সমালোচনার মুখে পড়তে হয় অধিনায়ককে। দলের পারফরম্যান্সের সঙ্গে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও সামলাতে হয় তাকে। এমন অবস্থায় অনেক অধিনায়কও মিডিয়া কিংবা মানুষের সমালোচনার চাপটা সামলে উঠতে পারেন না। সালাহউদ্দিন জানান, অধিনায়কত্বের চেয়ারে বসলে সেই চাপ অবশ্যই সামলাতে হবে। তিনি এও মনে করেন, পারফরম্যান্সের গ্রাফটা একটু উপরে উঠলে অধিনায়কের জন্য কাজটা সহজ হতো।


সালাহউদ্দিন বলেন, ‘পারফরম্যান্স, নিজের পারফরম্যান্স বলেন সব চাপ নিয়েই কিন্তু তাকে করতে হয়। আমাদের এখানে তো আরও অনেক বেশি চাপ, এটা থাকবেই। কিন্তু একজন অধিনায়ক হিসেবে আপনাকে ওই চাপটাও সামলাতে হবে। সেটা আমি বলছি না যে করা কঠিন। এই চাপটা আপনাকে নিতেই হবে—যেহেতু আপনি এই চেয়ারে বসেছেন। আপনাকে মিডিয়া, খেলোয়াড়, অফিসিয়ালস সামলাতে হবে—সবকিছুই আপনাকে সামলাতে হবে। যদি পারফরম্যান্সের গ্রাফটা একটু উপরে উঠে তখন তার জন্য সহজ হবে অধিনায়কত্ব করাটা।’



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball