বল টেম্পারিং আইনের স্বচ্ছতা চান ডু প্লেসিস

ছবি:

বল টেম্পারিং ইস্যুতে চলতি বছর পুরো ক্রিকেট বিশ্বই সরগরম। গত মার্চে বল টেম্পারিং করে কঠিন শাস্তির মুখে পড়েছেন তিন অজি ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট।
এরপরই এই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। সম্প্রতি বল টেম্পারিংয়ের শাস্তিও বাড়িয়েছে তারা। আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে বল বিকৃতি করার অপরাধ গণ্য হবে ‘লেভেল-থ্রি’ বা তৃতীয় মাত্রার দোষ হিসেবে।
ফলে বল টেম্পারিংয়ে অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে একজন ক্রিকেটারকে টেস্টে ন্যূনতম ৬ ম্যাচ এবং সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ন্যূনতম ১২ ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ভোগ করতে হবে। আর লেভেল-থ্রি মাত্রার অপরাধে আগে সাসপেনশন পয়েন্ট ৮ হলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ পয়েন্টে।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস জানিয়েছেন বল টেম্পারিংয়ের শাস্তি প্রসঙ্গে এখনও পরিষ্কার ধারণা নেই তার। তার মতে এই আইনে আরও স্বচ্ছতা প্রয়োজন। কি করা যাবে আর কি করা যাবেনা এ নিয়ে কোনো ধারণা দেয়নি আইসিসি। ফলে বেশ কিছু ব্যাপার নিয়ে সন্দিহান এই প্রোটিয়া অধিনায়ক।
"আমার মনে হয় এটা বলা জরুরী যে আমি এই বিষয়ে পরিষ্কার নই। আইসিসি অবশ্যই শাস্তি কঠোর করে দিয়েছে, কিন্তু এখনও তারা বলেনি কি করা যাবে আর কি করা যাবে না। চুইঙ্গাম কি অনুমোদিত? মুখে কি চকলেট রাখা যাবে?"
ক্রিকেটাররা অনেক সময়ই মুখের লালা দিয়ে বল পরিষ্কার করেন। মুখে চকলেট থাকলে তার আঠা অনেক সময় লেগে যায় বলে। এদিকে, প্রোটিয়া মারটুকে ব্যাটসম্যান হাসিম আমলা মুখে চকলেট রাখা ছাড়া ফিল্ডিংই করতে পারেন না। এটা নিশ্চই শাস্তির আওতায় পড়বে না এমনটাই ধারণা ডু প্লেসিসের। একজন অধিনায়ক হিসেবে সবার আগে এই বিষয়ে স্বচ্ছতা চান তিনি।
"হাসিম আমলা বলেছে, সে মুখে মিষ্টি কিছু রাখতে পছন্দ করে এবং এর ফলে মাঠে অনেক্ষণ থাকতে পারে। এটা নিয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। একজন অধিনায়ক হিসেবে আপনি সবসময় আপনার দলের মধ্যে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখার চেষ্টা করবেন। এবং আপনার স্বচ্ছতা দরকার হবে।"