অ্যান্টিগা টেস্টে স্বাগতিক উইন্ডিজদের বিপক্ষে ইনিংস এবং ২১৯ রানের বিশাল ব্যাবধানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় দিন ৬ উইকেটে ৬২ রান নিয়ে খেলতে নেমে ১৪৪ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।

উইন্ডিজদের চেয়ে ৩০১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু করে সাকিব আল হাসানের দল। শেষ পর্যন্ত শ্যানন গেবরিয়েল এবং জেসন হোল্ডারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২১৯ রান দূরে থেকে ম্যাচ শেষ করতে হয় সাকিব-তামিমদের।

তবে দল হারলেও এদিন বাংলাদেশের পক্ষে একাই লড়েছেন উইকেট রক্ষক নুরুল হাসান সোহান। মূলত তার কারনেই দলীয় ১০০ রানের পুঁজি পার করতে সক্ষম হয় সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত সোহান বিদায় নিয়েছেন ৬৩ রান করে। 

এছাড়া দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন রুবেল হোসেন। তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। এর আগে দ্বিতীয় দিন সকালে খেলতে নেমেই রিয়াদের উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। ১৫ রান করে গ্যাবরিয়েলের শিকার হয়ে ফিরেন তিনি।

এই তিন ব্যাটসম্যান ছাড়া কোন টাইগার ব্যাটসম্যান উইকেটে থিতু হতে পারেন নি। উইন্ডিজদের হয়ে শ্যানন গেবরিয়েল ৫টি এবং জেসন হোল্ডার নেন ৩টি উইকেট।

অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৬৩ রানের লিড নেয় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ৪৩ রানের জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০৬ রানে অল আউট হয় তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২১ রান করেন ওপেনার ক্রেইগ ব্রাথওয়েট। এছাড়াও শাই হোপের ব্যাট থেকে আসে গুরুত্বপূর্ণ ৬৭ রান। বাংলাদেশের হয়ে আবু জায়েদ রাহী এবং মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ৩টি।

বাংলাদেশ একাদশঃ

তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদি হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও আবু জায়েদ রাহী।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ-

ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট, ডেভন স্মিথ, কাইরন পাওয়েল, শাই হোপ, রস্টন চেজ, শেন ডওরিচ (উইকেটরক্ষক), জ্যাসন হোল্ডার (অধিনায়ক), দেবেন্দ্র বিশু, কেমার রোচ, মিগুয়েল কামিন্স, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল।