ভারতের আচরণে হতাশ চ্যাপেল

ছবি:

বছরের শেষ দিকে কোনও দল যদি অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ খেলতে যায় তাহলেই দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে নামতে হয় তা??ের। শেষ তিন বছর ধরে এমনটাই হয়ে আসছে। এবারো তাই ভারতকে একই প্রস্তাব দিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া।
কিন্তু ভারত সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। আর এতেই খেপেছেন সাবেক অজি ক্রিকেটার ইয়ান চ্যাপেল। তিনি মনে করছেন টেস্ট ক্রিকেটের পুনর্জাগরণের জন্য নেওয়া পদক্ষেপে (দিবারাত্রির টেস্ট) শামিল হওয়া উচিত ছিল ভারতীয়দের।
'বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্তটা খুবই হতাশার। অ্যাডিলেড দিবারাত্রির টেস্টের অনানুষ্ঠানিক ভেন্যুতে রূপ নিয়েছে। ফ্লাডলাইটের নিচে তিন বছরের দুর্দান্ত সাফল্য শক্তিশালী ভারতীয় দলের উপস্থিতিতে আরেকটু উজ্জ্বল হবে, এমন আশাই করছিল সবাই।'
একইদিনে দিবারাত্রির টেস্ট খেলার পেছনে বেশ কিছু যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন চ্যাপেল। অধিনায়কদের জন্য দিবারাত্রির টেস্টকে কিছুটা চ্যালেঞ্জিং দাবী করে তিনি জানান,

'সমর্থকদের জন্য ম্যাচ দেখার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়ে দিবারাত্রির টেস্ট হয়—এটা ছাড়া আরও অনেক বাড়তি সুবিধা আছে। দিবারাত্রির টেস্ট অনেক ক্রিকেটীয় সম্ভাবনার জন্ম দেয়। কন্ডিশনের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে কৌশলে ভিন্ন কিছু আনতে হয়।
'বিশেষ করে ব্যাটিং ও বোলিং অর্ডার নিয়ে ভাবতে হয়। এ ছাড়া বোলার ও অধিনায়কের চিন্তার ক্ষমতা বাড়ানোর অনেক বড় সুযোগ দিবারাত্রির টেস্ট। এমন দুটো জিনিস এনে দিতে পারে যা, সেটা অবশ্যই ক্রিকেটের জন্য ভালো।'
এদিকে দিবারাত্রির টেস্ট না খেলার কারণ হিসেবে ভারতীয়রা প্রস্তুতির অভাবসহ বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেছে। এসব যুক্তিকে কর্ণপাত করতে নারাজ ইয়ান চ্যাপেল। উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত চারটি দিবারাত্রির টেস্টে অংশ নিয়ে প্রতিটিতেই জয়ী হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
দিবারাত্রির টেস্টে অস্ট্রেলিয়া বরাবরই এগিয়ে থাকে উল্লেখ করে চ্যাপেল জানান, 'বিসিসিআই এই যুক্তিই দিক না কেন, সেটা মানা কঠিন। আসলে ওরা চায় তুলনামূলক দুর্বল অস্ট্রেলিয়াকে পেয়ে প্রতিপক্ষের মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিততে।
'এ খেলাটার ভালো হবে, এমন চিন্তার ছাপ আমি কোথাও দেখতে পাই না। যে যুগে টি-টোয়েন্টি লিগ পুরো বাজার দখল করে রেখেছে, টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে চাইলে কর্মকর্তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।'