সাফল্যের মন্ত্রটা চিনতে পারেননি টাইগার স্পিনাররা!

ছবি:

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট দলপতি সাকিব আল হাসান ইনজুরির কারণে লঙ্কানদের বিপক্ষে ২ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ত খেলছেন না। তাকে ছাড়াই চট্টগ্রাম টেস্টে তিন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ দল।
তবে, এই তিন স্পিনারও খুব একটা পার্থক্য গড়ে দিতে পারেনি চট্টগ্রাম টেস্টে। প্রথম ইনিংসে টাইগার বোলাররা শ্রীলঙ্কার ৯ উইকেট দখল করতে পেরেছে। যার মধ্যে স্পিনারদের ঝুলিতেই গেছে ৮ উইকেট।
১টি উইকেট নিয়েছেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। এদিকে, বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ৪ উইকেট নিলেও বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে করেছেন রান দেওয়ার ডাবল সেঞ্চুরি।

৪৯ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ উইকেটের জন্য মেহেদী হাসান মিরাজ খরচ করেছেন ১৭৪ রান। এরমধ্যে, অভিষেকে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়ে ১৫৩ রান খরচার ১ উইকেট নিয়েছেন সানজামুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হলেও। ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে টাইগার স্পিনাররা সফল হতে না পারায় বেশ হতাশ বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ সুনিল যোশি।
তিনি জানিয়েছেন, “একজন স্পিনারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো আঁটসাঁট লাইন-লেংথে বল করা। টেস্ট ক্রিকেট মানে ধৈর্যের পরীক্ষা। যার ধৈর্য সবচেয়ে বেশি, সে ঠিকই ফল পায়।”
এই টাইগার স্পিন বোলিং কোচের মতে টাইগার স্পিনারদের পারফরম্যান্স আরও ভালো হতে পারত। আরও ধারাবাহিক হতে পারতেন তারা। টেস্টে সাফল্যের পথটা বুঝতে না পারাই চলতি টেস্টে টাইগার স্পিনারদের ভরাডুবির কারণ বলে মনে করেন যোশি।
“আমার মতে, ওদের আরও ভালো করা উচিত ছিল। আরও ধারাবাহিক হতে পারত ওরা। প্রথম সেশনে উইকেট না পেলে দ্বিতীয়-তৃতীয় সেশন তো আসবেই। সেই ধৈর্যটা রাখতে হবে। বাংলাদেশের তরুণ স্পিনারদের বুঝতে হবে, টেস্টে সাফল্যের পথ এটিই।”