টি২০ স্পেশালিষ্ট তৈরির পরামর্শ মাশরাফির

ছবি:

গত কয়েক বছর ধরেই ঘরের মাঠে দুর্দান্ত খেলছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু বিদেশের মাটিতে টাইগারদের সফল্যটা ঠিক ভাবে আসছে না। সবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও বাংলাদেশের পারফরমেন্স ছিল হতাশাজনক।
তবে, খুব দ্রুতই বিদেশের মাটিতেও টাইগাররা নিজেদের প্রমাণ করবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। নিজেদের মাঠে এবং বাইরে প্রতিটি দলেরই পারফরমেন্স একেক রকম বলে মত টাইগার দলপতির।
এই প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, 'প্রথমত বলবো, বিদেশের মাটিতে কাজটা অত সহজ নয়। টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-২০'র প্রতিষ্ঠিত দলের দিকেও যদি তাকান তাদের ক্ষেত্রেও কিন্তু এমনটা হচ্ছে। যেমন, অস্ট্রেলিয়া ভারতে আসলে স্ট্রাগল করছে, ভারত অস্ট্রেলিয়ায় গেলেও সেটাই হচ্ছে। এমনকি এখন অন্যান্য দেশগুলো বাংলাদেশে আসলেও স্ট্রাগল করছে। তো ক্রিকেটে বিষয়টাই এরকম হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন হোম এন্ড অ্যাওয়ে।'
এমন পরিস্থিতিতেও নিজেদের পারফরমেন্স বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন মাশরাফি। এর জন্য বিদেশের মাটিতে যে প্রতিটি ম্যাচ জিততে হবে এমনটা নয়, ঘরের মাটিতে সবগুলো ম্যাচ জিততে হবে এবং বাইরে গিয়ে অন্যান্য দলগুলোর তুলনায় যতটা সম্ভব বেশি ম্যাচ জেতারচেষ্টা করতে হবে।

মাশরাফির ভাষ্যমতে, 'আমরা আস্তে আস্তে এই পর্যায়ে যাওয়া শুরু করেছি। আপনি যদি তাকান, ২০১৫ সালে আমরা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমরা সেমিফাইনাল খেলেছি। আমরা আয়ারল্যান্ডে গিয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছি। এমনকি নিউজিল্যান্ড সফরেও কিন্তু আমরা ফাইট করেছি। হয়তো বা শেষটা আমরা করতে পারিনি। ভবিষ্যতে যখন ট্যুর করবো তখন হয়তো এই বিষয়গুলো কমে আসবে।'
আইসিসির নতুন ভবিষ্যৎ ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী আগের চেয়ে অনেক ম্যাচ বেশি খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ দল। বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। আর একারণেই বিদেশের মাটিতে নিজেদের পারফরমেন্সের উন্নতিতে আশাবাদী মাশরাফি।
ওয়ানডে দলপতি জানিয়েছেন, 'আমাদের টেস্ট ম্যাচ অনেক বেড়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২৩ এর মধ্যে আমরা প্রায় ৩৫টা টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারবো। তার মানে বছরে প্রায় আট থেকে দশটা ম্যাচ খেলতে হবে। এটা আমাদের জন্য খুবই ভালো একটা দিক। অন্তত টেস্ট খেলোয়াড়রা আলাদা করে মনোনিবেশ করতে পারবে এবং নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টে যারা আছেন তারাও ফোকাস করতে পারবেন।'
ওয়ানডে ও টেস্ট বাড়ার সাথে আগের চেয়ে টি২০ ম্যাচও বেশি খেলবে টাইগাররা। বাংলাদেশ দল মোট ৪২টি টি-২০ খেলবে তার সঙ্গে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো যোগ করলে দাঁড়াবে প্রায় ৫০ এর কাছাকাছি। তাই এই ফরম্যাটকে মোটেও অবহেলার সুযোগ নেই বলে মনে করেন মাশরাফি।
তবে দেশে টি-২০ ফরম্যাটের বিশেষজ্ঞ ক্রিকেটারের অভাব দেখছেন মাশরাফি। এমন অবস্থায় টি২০ ক্রিকেটার বের করে আনার পরামর্শ দিয়েছেন টাইগার দলপতি। যেহেতু, ওয়ানডের চেয়েও বেশি টি২০ খেলবে বাংলাদেশ দল। ফলে এখানে উন্নতি না করার বিকল্প দেখছেন না তিনি।
মাশরাফি বললেন, 'আমাদের টি-২০ স্পেশালিষ্ট খুবই কম। হয়তো বা সাকিব, তামিম এখন খেলছে। ইনজুরির আগে মোস্তাফিজ ছিলো। কিছু খেলোয়াড় যদি বের করা যায় টি-২০'র জন্য তাহলে অনেক ভালো হবে বলে আমার মনে হয়। কারণ, টি-২০ কে এখন আর অবহেলা করার সুযোগ নাই। কারণ, অনেক ম্যাচ খেলতে হবে এমনকি ওয়ানডের থেকেও বেশি ম্যাচ খেলতে হবে।'