জয়সাওয়ালকে আউট দেয়ার সিদ্ধান্তে শরফুদ্দৌলার পক্ষে রোহিত-টফেল
ছবি: মেলবোর্নে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৪ রান করেছেন যশস্বী জয়সাওয়াল, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া
এমন সিদ্ধান্ত নিতে তৃতীয় আম্পায়াররা আলস্ট্রা এজ কিংবা স্নিকো মিটারের সহায়তা নিয়ে থাকেন। রিয়েল টাইম স্নিকো প্রযুক্তিতে অবশ্য কোন রেখা দেখা যায়নি। তবে ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায় বল জয়সাওয়ালের ব্যাটের কানা ও গ্লাভসে লেগে গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। যার উপর ভিত্তি করে অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ৮৪ রানের ইনিংস খেলা ভারতের ওপেনারকে আউট দেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত।
জয়সাওয়ালকে আউট দেয়ার পর থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশের এই আম্পায়ারকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা করে শরফুদ্দৌলাকে ধুয়ে দিচ্ছেন ভারতের সমর্থকরা। ধারাভাষ্যকারদের মাঝে হার্শা ভোগলে, মার্ক নিকোলাসরা আইসিসির এলিট প্যানেলের পক্ষে থাকলেও সুনীল গাভাস্কারের মতো সাবেক ক্রিকেটার মানতে পারছিলেন না। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে রোহিত শর্মা অবশ্য শরফুদ্দৌলার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। যদিও নিজেদের দুর্ভাগা মানছেন ভারতের অধিনায়ক।
এ প্রসঙ্গে রোহিত বলেন, ‘আমি জানি না এ নিয়ে কী বলব। কারণ, প্রযুক্তিতে কিছু দেখা যায়নি। কিন্তু খালি চোখে দেখে মনে হয়েছে, সে (জয়সোয়াল) কিছু একটাতে (ব্যাট) লাগিয়েছে। আম্পায়াররা প্রযুক্তি কীভাবে ব্যবহার করতে চান, তা আমি জানি না। তবে ন্যায়পরায়ণতার খাতিরেই বলছি, আমার মনে হয়, সে বলটা ছুঁয়েছে...। আমরা জানি, প্রযুক্তি শতভাগ সঠিক নয়। বেশির ভাগ সময় আমরাই এর ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হচ্ছি...এখানে আমরা দুর্ভাগা।’
হার্শা, রোহিতের মতো শরফুদ্দৌলার সিদ্ধান্তের পক্ষে কথা বলেছেন সাইমন টফেল। আইসিসির সাবেক আম্পায়ার জানিয়েছেন, ভিডিও রিপ্লেতে বলের পরিস্কার বিচ্যুতি দেখা গেলে তখন আর প্রযুক্তির প্রয়োজন নেই। অডিও বোঝা না গেলেও বিচ্যুতির উপর নির্ভর করে বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন! অস্ট্রেলিয়ান চ্যানেল সেভেনকে এমনটাই বলেছেন পাঁচবার আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের স্বীকৃতি পাওয়া সাবেক এই আম্পায়ার।
এ প্রসঙ্গে টফেল বলেন, ‘আমার মতে, ওটা আউট। তৃতীয় আম্পায়ার শেষ পর্যন্ত সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন...আম্পায়ার যখন ব্যাট থেকে (বলের) পরিষ্কার বিচ্যুতি দেখেছেন, তখন আর এগোনো কিংবা বিষয়টি প্রমাণে কোনো প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। (বলের) পরিষ্কার বিচ্যুতিটাই চূড়ান্ত প্রমাণ।
‘এ ক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ারের কাছ থেকে আমরা যেটা দেখলাম, তাঁরা দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। যে কারণে বিচ্যুতির পক্ষে একই চূড়ান্ত প্রমাণ অডিওতে বোঝা যায়নি। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় আম্পায়ার পরিষ্কার বিচ্যুতির পক্ষে থেকে সঠিক কাজটাই করেছেন এবং মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন। তাই আমার মতে, সঠিক সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।’