'ক্রিকেটে বয়স কোন ফ্যাক্টর নয়'

ছবি: মোহাম্মদ আশরাফুল, সংগৃহীত

একটা সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবেই গণ্য করা হত মোহাম্মদ আশরাফুলকে। একের পর এক নান্দনিক শট খেলতে জুড়ি ছিল না তাঁর। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ডবুকেও নাম লিখিয়েছিলেন তিনি।
সেই আশরাফুলই ২০১৩ সালের বিপিএল আসরে ফিক্সিং কান্ডে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হন সবধরণেের ক্রিকেট থেকে। দীর্ঘ পাঁচ বছরের সেই নিষেধাজ্ঞার কারণে সকলের চক্ষুশূল তো হয়েছেনই, পাশাপাশি অকালেই যেন হারিয়ে গিয়েছেন জাতীয় দল থেকে।
অবশ্য সবকিছুরই শেষ থাকে। আশরাফুলের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদও শেষ হয়েছে একটা সময়। ১৩ই আগস্ট সবধরনের ক্রিকেটে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক। এখন তাঁর জাতীয় দলে খেলতে আর কোন বাঁধা থাকছে না।

কিন্তু সেটি আদৌ সম্ভব হবে কিনা তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ দীর্ঘদিন জাতীয় দলে অনুপস্থিত থাকা আশরাফুলকে ফিরতে হলে দিতে হবে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা। যার মধ্যে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল পারফর্মেন্স ছাড়াও তাঁকে ফিটনেস প্রমাণ করতে হবে।
তবে জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট মনে করছেন দেশের হয়ে খেলার পথ এখনও বন্ধ হয়ে যায়নি ৩৪ বছর বয়সী আশরাফুলের। এর জন্য তাঁকে পারফর্ম করে আসতে হবে জানিয়ে পাইলট বলছিলেন,
'নির্বাচক এবং কোচ যারা আছেন তারাও চান একজন ভালো ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে খেলাতে। কিন্তু ভালো খেলোয়াড়টি কে? ভালো খেলোয়াড় তখনই বলা যাবে যখন সে পারফর্ম করে আসবে।'
শুধু তাই নয়, ভালো পারফর্ম করতে পারলে জাতীয় দলের দরজা সকলের জন্যই খোলা বলে বিশ্বাস করেন খালেদ মাসুদ। সুতরাং এক্ষেত্রে বয়স খুব বড় ফ্যাক্টর হবে না আশরাফুলের জন্য।
তাঁর ভাষায়, 'আমার কাছে এখানে আসলে সবাই ওপেন। ক্রিকেটে বয়সটি কিন্তু খুব বড় ফ্যাক্টর নয়। ব্যাপার হচ্ছে কে কত ভালো পারফর্মার।'