আশা বাঁচিয়ে রাখলেন সাকিব-তামিম

ছবি:

বাংলাদেশ ১৭১/৫, ওভার ২০
সাকিব - ৬০ (৩৮), তামিম - ৭৪ (৪৪)
নার্স ২/২৪, পোল ২/৩৯
ফ্লোরিডায় টপ অর্ডার ব্যর্থতার পর তামিম ও সাকিবের ব্যাটে লড়াই করার মত পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। টসে হেরে আগে ব্যাট করে তামিম ইকবাল ও সাকিবের জোড়া ফিফটি বাংলাদেশকে ১৭১/৫ রানে পৌঁছে দেয়।
তবে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশি সমর্থকদের সামনে বাংলাদেশি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের শুরুটা ভালো ছিল না। বাঁহাতি-ডানহাতি কম্বিনেশনের ভাবনা থেকে তামিম ও লিটনকে এই ম্যাচে ওপেন করতে দেখা যায়।
কিন্তু দ্রুত উইকেট পতন থামাতে পারেনি বাংলাদেশ। অফ স্পিনার অ্যাশলে নার্সের বলে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এক্সট্রা কাভার দিয়ে ইনসাইড আউট শট খেলার চেষ্টায় ক্যাচ আউট হন লিটন।

১ বল খেলে ১ রান যোগ করে দলীয় ৮ রানে আউট হন তিনি। লিটনের পথে হেঁটে নার্সকে উইকেট দেন আরেক ডানহাতি মুশফিকও। চতুর্থ ওভারে নার্সকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে রাসেলের সহজ ক্যাচে থামে মুশফিকের ইনিংস।
চার নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসা সৌম্য সরকারও বিশেষ কিছু করে দেখায়ে পারেননি। ১৮ বলে ১৪ রান যোগ করে কিমো পোলের স্লোয়ার বলে আউট হন তিনি। অপর প্রান্ত থেকে একা হাতে দলের স্কোর বোর্ড সচল রাখার চেষ্টা করেন তামিম।
আরেক বাঁহাতি সাকিব আল হাসান ক্রিজে এসেই আগ্রাসী ব্যাটিং করার চেষ্টা করেন। ইনিংসের ১৪তম ওভারে এই জুটির ফিফটি পূর্ণ হয়। একই সাথে বাংলাদেশের স্কোর একশ ছাড়িয়ে যায় এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের হাত ধরে।
পরের ওভারেই ৩৫ বল খেলে টি-টুয়েন্টি সপ্তম ফিফটি পূর্ণ করেন তামিম, যা তামিমের ক্যারিয়ারের দ্রুততম ফিফট। ফিফটি পূর্ণ করার পর আরও ভয়ঙ্কর রুপ ধারন করেন টাইগার ওপেনার। বাউন্ডারি ও ওভার বাইন্ডারিতে দলের স্কোর দ্রুত বাড়াতে থাকেন তিনি।
রাসেলের বোলিংয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং করে ২২ রান তুলে নিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ আউট হন তিনি। ৪৪ বল খেলে চারটি ছয় ও ছয়টি চারের সাহায্যে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তামিম।
তামিমের বিদায়ে দলকে বড় স্কোরে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব বর্তায় সাকিবের কাঁধে। অধিনায়ক হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পূর্ণ করে সেই পথেই এগোচ্ছিলেন তিনি। মাত্র ৩০ বলে অর্ধশত পূর্ণ করেন সাকিব।
শেষ ওভারে সাকিব ৩৮ বলে ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন। শেষের দিকে রিয়াদের ১৩ রানের ইনিংস দলের স্কোর ১৭১ রানে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। উইন্ডিজ বোলারদের মধ্যে অ্যাশলে নার্স ও কিমো পোল দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
বাংলাদেশ একাদশ-
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ (সহ-অধিনায়ক), নাজমুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, আবু হায়দার, আরিফুল হক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ-
কার্লোস ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), স্যামুয়েল বদ্রি, আন্দ্রে ফ্লেচার, এভিন লুইস, অ্যাসলে নার্স, কিমো পল, রোভম্যান পাওয়েল, দীনেশ রামদিন (উইকেটরক্ষক), আন্দ্রে রাসেল, মারলন স্যামুয়েলস, চ্যাডউইক ওয়ালটন, কেসরিক উইলিয়ামস।