নারিন-নরকিয়ার পর ব্যাট বদলে বাধ্য হলেন পরাগ

ছবি: পরাগের ব্যাট পরিমাপ করছেন আম্পায়ার, আইপিএল

এই সমস্যা সমাধানে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এবারের আইপিএলে কঠোর নিয়ম প্রয়োগ করেছে। ম্যাচ চলাকালীন আম্পায়াররা নিয়মিতভাবে ব্যাটসম্যানদের ব্যাটের আকার পরীক্ষা করছেন, যা আইপিএলের ইতিহাসে আগে দেখা যায়নি। ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বিসিসিআই প্রথমবারের মতো ম্যাচের মধ্যেই ব্যাট পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে, যাতে ক্রিকেটাররা যেন বড় ব্যাটের সুবিধা নিয়ে খেলতে না পারেন।
রাজস্থানের নেতৃত্বে ফিরলেন স্যামসন
৩ এপ্রিল ২৫
আগের দিনই কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচে ব্যাটের পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি সুনীল নারিন ও এনরিখ নরকিয়া। ফলে তাদের ব্যাট বদল করতে হয়েছিল। এবার আম্পায়ারদের কাছে ব্যাটের পরিমাণ সঠিক দেখাতে ব্যর্থ হলেন রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটার রিয়ান পরাগ। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ১৮৯ রান তাড়া করতে নেমে, ইনজুরিতে পড়েন সঞ্জু স্যামসন।
এরপর তার বদলি হিসেবেই ব্যাটিংয়ে নামেন পরাগ। স্ট্রাইক নেয়ার আগেই, তাকে আম্পায়ার আটকে দেন। একটি ছাঁচে তার ব্যাট পরীক্ষা করা হয়। তবে পরাগের ব্যাট আইপিএলে অনুমোদিত পরিমাপে ছিল না। তখন তাকে ব্যাট পরিবর্তন করতে বলা হয়। সেই সময় আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিতে দেখা যায় রাজস্থানের এই ব্যাটারকে।

স্যামসনকে নিয়ে বিতর্কের জবাব দিলেন দ্রাবিড়
২২ মিনিট আগে
শেষ পর্যন্ত তাকে ব্যাট পরিবর্তনে বাধ্য করা হয়। আরেকটি ব্যাট নিয়ে খেলতে নেমে অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি তিনি। মাত্র ৮ রান করে ফিরতে হয় তাকে। এই ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের দেয়া ১৮৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৮৮ রানেই থামে রাজস্থান রয়্যালস। ফলে ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে ১১ রানে ২ উইকেট হারায় রাজস্থান। সুপার ওভারে নেমে মাত্র ৪ রান করে আউট হন পরাগ। শেষ পর্যন্ত ৪ বলেই কোনো উইকেট না হারিয়ে ম্যাচ জিতে যায় দিল্লি।
ক্রিকেটারদের ব্যাটের আকার পরীক্ষা নিয়ে আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘মাঠে একটি ন্যায্য লড়াই নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য। কেউ যেন না ভাবে যে অপরপক্ষ অন্যায্য সুবিধা পাচ্ছে। খেলার ন্যায্যতা বজায় রাখতে বিসিসিআই এবং আইপিএল সবসময় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে এসেছে। আমরা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছি যাতে প্রতিটি সিদ্ধান্ত রিভিউ করা যায় এবং খেলা অন্যায়ভাবে প্রভাবিত না হয়। এই নতুন উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্যই হল খেলাধুলার স্পিরিট বজায় রাখা।’
নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাটের সামনের অংশ চওড়ায় ১০.৭৯ সেন্টিমিটারের বেশি হতে পারবে না। আর পুরুত্ব হতে হবে সর্বোচ্চ ৬.৭ সেন্টিমিটার। ব্যাটের প্রান্তের প্রস্থ ৪ সেন্টিমিটারের বেশি হওয়া যাবে না। আর দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৯৬.৪ সেন্টিমিটার। আইপিএলে সেই পরিমাপকেই আদর্শ মেনে পরীক্ষা করা হচ্ছে নিয়মিত।