আইপিএলের সীমানা বড় করার পরামর্শ গাভাস্কারের

ছবি: সুনীল গাভাস্কার

শুধু তাই নয় ক্রিকেটারদের পুরষ্কারের অর্থও বাড়াতে বলেছেন এই ভারতীয় সাবেক ব্যাটার। সাধারণত দর্শকদের আনন্দ দিতেই তুলনামূলক ছোটো বাউন্ডারিতে খেলা হয় আইপিএলে। বিশেষ করে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম, অকল্যান্ডের ইডেন পার্কের মতো অনেক স্টেডিয়ামের সীমানা এমনিতেই ছোটো সেখানে সীমানা বাড়ানোর সুযোগ নেই।
‘ধোনির সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলো না’
২৩ মার্চ ২৫
তবে ভারতে এমন মাঠও আছে যেখানে চাইলেই মাঠের সীমানা বাড়ানো যায়। এমনটা হলে তা বোলারদের জন্যও সহায়ক হবে বলে ধারণা ভারতীয় এই ক্রিকেট গ্রেটের। সম্প্রতি মিড ডের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
গাভাস্কার বলেছেন, 'পাওয়ার প্লেতে ব্যাটারদের খেলার ধরন প্রবলভাবে বদলে গেছে। যেটা বদলায়নি, তা হলো বাউন্ডারির আকার। এলইডি অ্যাডভার্টাইজিং বোর্ডের পেছনে জায়গা থাকে, সেগুলো আরও পেছনে ঠেলে দেওয়া যায়, তার পরও এটা হয়নি।'

তিনি আরও বলেন, 'অনেক সময়ই আমরা দেখি, এমন কিছু ছক্কা হয়, যা কোনোরকমে সীমানা পার করে। যদি এলইডি বোর্ডগুলি আরেকটু পেছনে রেখে বাউন্ডারির সীমানা যদি কয়েক মিটার বাড়ানো সম্ভব হয়, তাহলে ওই ছক্কাগুলোই পরিণত হতে আউটে। বোলাররা ছক্কা হজম করার পরিবর্তে উইকেট পেতে পারে।'
ঘরের মাঠে উইকেট মন্থর করে নিজেরাই বিপদে পড়ল লক্ষ্ণৌ
৫ ঘন্টা আগে
২০০৮ সাল থেকে শুরু হওয়া আইপিএলে অনেক কিছুই বদলে গেছে। তবে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ও আর্থিক দিকগুলো প্রায় একই আছে শুরু থেকে। তাই এবার এদিকে মনোযোগ দেয়ার পরামর্শ গাভাস্কারের।
তার ভাষ্য, 'আরেকটি জিনিসের আকার এখনও একই আছে, সেটি হলো ম্যাচ শেষে স্পন্সরদের বিভিন্ন আর্থিক পুরস্কার। টাইটেল স্পন্সরশিপ, অন্যান্য স্পন্সরশিপ, সম্প্রচার স্বত্ব থেকে আয় অবিশ্বাস্যরকমের বেড়েছে। কিন্তু ম্যান অব দা ম্যাচের পুরস্কার এখনও ২০০৮ সালের মতোই আছে। আইপিএল এখন সাবালক হয়েছে, এই প্রাইজমানিগুলোও বাড়ানো উচিত। আমরা যখন স্কুল শেষ করে কলেজে উঠেছি, আমাদের পকেটমানিও বাড়িয়ে দিয়েছেন অভিভাবকরা।'
এখন ম্যাচ সেরার পুরস্কার হিসেবে একটি ট্রফির সঙ্গে দেয়া হয় ১ লাখ রুপি। এ ছাড়া বিভিন্ন বাড়তি অর্জনের জন্যও বিভিন্ন আর্থিক পুরষ্কার থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ছক্কা, সবচেয়ে বেশি ছক্কার মতো পুরষ্কার রয়েছে। তবে সবগুলো পুরস্কারেরই অর্থ ১ লাখ রুপি করে।