চিটাগংকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে ঢাকা
ছবি: ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন তানজিদ হাসান তামিম, ক্রিকফ্রেঞ্জি
উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম ৭৫ রান তুললে কাজটা আরও সহজ হয়ে যায় ক্যাপিটালসের। লিটন ফিরলেও দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন তানজিদ তামিম। বাঁহাতি ওপেনার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৯০ রানের ইনিংস খেলে। চিটাগংকে ৮ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে এসেছে ঢাকা। শেষ দুই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল এবং খুলনা টাইগার্সের।
গেইলের ছক্কার রেকর্ড ভাঙা নিয়ে ভাবছেন না তানজিদ
২ মিনিট আগেজয়ের জন্য ১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ঢাকাকে ভালো শুরু এনে দেন তানজিদ ও লিটন। দারুণ ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে কোন উইকেট না হারিয়ে ৫৭ রান তোলেন তারা দুজন। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরও দ্রুতই রান তোলায় মনোযোগী ছিলেন তারা। তবে ইনিংসের নবম ওভারে এসে নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় ঢাকা। হুসাইন তালাতের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন লিটন।
টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় ডিপ মিড উইকেটে থাকা খালেদ আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ডানহাতি এই ওপেনার। ছন্দে থাকা লিটন ফিরেছেন ২৫ রানে। তিনি ফেরার একটু পর আরাফাত সানির শর্ট ডেলিভারিতে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তানজিদ। বিপিএলের চলমান মৌসুমে বাঁহাতি ব্যাটারের এটি তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর দেখেশুনে খেলতে থাকেন তিনি।
তানজিদকে ঠিকঠাক সঙ্গ দিতে পারেননি মুনিম শাহরিয়ার। ডানহাতি ব্যাটার ফিরেছেন আলিস আল ইসলামের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে। একাদশে সুযোগ পেয়ে মুনিম আউট হয়েছেন ১২ রানে। এরপর সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন তানজিদ। বাঁহাতি ওপেনার ৯০ এবং সাব্বির অপরাজিত ছিলেন ১৪ রানে। চিটাগংয়ের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন আলিস ও তালাত।
দিনের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে জুবাইদ আকবরি ও নাঈম ইসলাম দেখেশুনে খেলতে থাকেন। পাওয়ার প্লেতে কোন উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান তোলে চিটাগং। ইনিংসের অষ্টম ওভারে নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় তারা। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের টার্ন করে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন আকবরি। আফগানিস্তানের বাঁহাতি ব্যাটার ফিরেছেন ২৩ রানে। দারুণ ছন্দে থাকা গ্রাহাম ক্লার্ক ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি।
শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে ঢাকার কাছে হারল সিলেট
২০ জানুয়ারি ২৫নাজমুল ইসলাম অপুর বলে ফেরার আগে ১৯ রান করেছেন তিনি। চিটাগংয়ের নিজের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন তালাত। পাকিস্তানের বাঁহাতি ব্যাটার ফিরেছেন অপুর বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে স্টাম্পিং হয়ে। আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করে চিটাগংকে জয় এনে দিয়েছিলেন নাঈম। তবে ঢাকার বিপক্ষে পঞ্চাশ ছোঁয়া হয়নি ডানহাতি এই অভিজ্ঞ ব্যাটারের। ধীরগতির ইনিংস খেলে তিনি আউট হয়েছেন মোসাদ্দেকের বলে মুনিমকে ক্যাচ দিয়ে।
নাঈমের ব্যাট থেকে এসেছে ৪০ বলে ৪৪ রান। শামীম হোসেন পাটোয়ারী, হায়দার আলীরা শেষ দিকে ঝড় তুলতে পারেননি। মোহাম্মদ মিঠুন খুব বেশি বল খেলার সুযোগ পাওয়ায় চিটাগংকে এগিয়ে নিতে দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৪৮ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। ঢাকার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নাজমুল অপু ও মোসাদ্দেক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
চিটাগং কিংস- ১৪৮/৬ (২০ ওভার) (নাঈম ৪৪, আকবরি ২৩, ক্লার্ক ১৯; মোসাদ্দেক ২/১৩, অপু ২/২৭)
ঢাকা ক্যাপিটালস- ১৪৯/২ (১৮.১ ওভার) (তানজিদ ৯০*, লিটন ২৫, মুনিম ১২, সাব্বির ১৪*; আলিস ১/১৮)