এক যুগ পর ম্যাচসেরা হয়ে চিটাগংয়ের মালিকপক্ষকে ধন্যবাদ দিলেন নাঈম
ছবি: গণমাধ্যমে কথা বলছেন নাঈম ইসলাম, ক্রিকফ্রেঞ্জি
বিপিএলে নাঈম দল পাওয়ায় অবাক হন অনেকেই। চিটাগং কিংস তাকে প্রথম ম্যাচেই ওপেনিংয়ে পাঠানোয় আরও অবাক হন ক্রিকেটপ্রেমিরা। যদিও শুরুটা ভালো ছিল না নাঈমের। ১২ রানে ফিরে যান তিনি।
শিশুদের জন্য চিটাগং নিয়ে আসছে ‘চিটাগং কিংস কিডস ক্লাব’
১৬ ডিসেম্বর ২৪পরের ম্যাচে আরও সুযোগই পাননি নাঈম। তারপর দলটি জয়ের মধ্যে থাকায় আর সুযোগ হচ্ছিল না তার। যদিও ঘরের মাঠে টানা দুই হারে একাদশে বদল আনে চিটাগং। দলের মালিক সামির কাদের চৌধুরী নাঈমকে সুযোগ দিতে টিম ম্যানেজমেন্টকে অনুরোধ করেন।
টিম ম্যানেজেমেন্টের আস্থায় সুযোগ পেয়ে একটি ম্যাচে ১৯ রান করলেও পরের ইনিংসে বাজিমাত করেন নাঈম। ৪১ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে দল জিতিয়েছেন তিনি। বল হাতে নেন তিন ওভারে মাত্র ছয় রান খরচায় দুই উইকেট।
রাজশাহীকে ১১১ রানে উড়িয়ে দেয়ার ম্যাচ শেষে নাঈম বলেন, 'টানা দুই হারের পর আমাদের আজ ম্যাচটা ডু অর ডাই ছিল। আমরা যেই ছন্দে ছিলাম সেটা আবার ফিরিয়ে আনার দরকার ছিল। কেননা এখন সবাই দল গুছিয়ে উঠেছে। সবাই পারফর্ম করতে শুরু করেছে। এমন সময়ে যদি জয় হাতছাড়া হয় তাহলে সামনে যাওয়া কঠিন হয়ে যায়।'
ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক সামিরকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি আরও বলেন, 'প্রথম ম্যাচে ওপেনিং করেছিলাম। চিটাগংয়ের প্রত্যাশা মাফিক তেমন কিছু করতে পারিনি। কয়েকটা ম্যাচ এজন্য অফ ছিলাম। এখন ফিরে এসে একটা ভালো ইনিংস খেললাম। আমাদের দলের মালিক সামির ভাই উনি চেয়েছেন আমি খেলি। তার চাওয়াতেই আমি খেলেছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। সামির ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাকে এই সুযোগটি দিয়েছেন ও বিপিএলে উনার টিমে নিয়েছেন।'
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর বিপিএলে এবারই হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন নাঈম। বিপিএলে দ্বিতীয় আসরে শেষবার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। এক যুগ পর ম্যাচসেরা হয়ে নাঈম আরও বলেন, 'খুবই ভালো লাগছে। দলের জয়ে আপনি যখন ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগে অবদান রাখতে পারবেন তখন খুব খুব ভালো অনুভব হয়।'