নতুন বলে তামিম-শান্তদের আটকে দিতে চান সোহাগ গাজী
ছবি: দুর্বার রাজশাহীর জার্সিতে বিপিএলে ফিরেছেন সোহাগ গাজী, ক্রিকফ্রেঞ্জি
শেখ মেহেদীর লেংথ ডেলিভারিতে হাঁটু গেড়ে স্লগ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে এক্সট্রা কভারে আজিজুল হাকিম তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন শান্ত। অর্থাৎ টানা দুই ম্যাচেই অফ স্পিনারের বিপক্ষে নিজের উইকেট দিয়ে এসেছেন তিনি। আরেক বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল অবশ্য আউট হয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানার বিপক্ষে। প্রথাগতভাবেই বাঁহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন অফ স্পিনাররা।
ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে সেই সুবিধাই নিতে চান সোহাগ গাজী। শান্ত ও তামিমের সঙ্গে বরিশালের একাদশে বাঁহাতি ব্যাটার হিসেবে খেলছেন কাইল মেয়ার্স, ফাহিম আশরাফ ও শাহীন শাহ আফ্রিদি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পর বিপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত নতুন বলে বোলিং করা অফ স্পিনার সোহাগ গাজীর চাওয়া শুরুতেই তামিম-শান্তদের আটকে দেয়া। তাঁর বিশ্বাস ভালো জায়গায় বোলিং করতে পারলে বিশ্বের যেকোন বাঁহাতি ব্যাটারের খেলতে সমস্যা হবে।
সিলেটে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সোহাগ গাজী বলেন, ‘আগেও এই কাজগুলোই করেছি আন্তর্জাতিক, বিপিএল, ঘরোয়াতে। নতুন বলে আমার ওপর ওই বিশ্বাসটা আছে বলেই হয়ত আমি নতুন বলে শুরু করি। চেষ্টা থাকবে কালকেও যদি নতুন বল পাই অবশ্যই চেষ্টা থাকবে তাদেরকে আটকানোর। বাঁহাতি ব্যাটারদের অফ স্পিন খেলতে একটু সমস্যা থাকে। কিন্তু আমি বলব সবদিকেই স্পিনারদের চ্যালেঞ্জ নেয়া উচিত, বিশেষ করে অফ স্পিনারদের সেটা ডানহাতি হোক বাঁহাতি হোক। ভালো একটা জায়গায় বল করলে বিশ্বের যেকোন ব্যাটারেরই সমস্যা হবে।’
লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলে না থাকলেও বিপিএলে নিয়মিতই খেলতেন সোহাগ গাজী। ৬টি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ৮ মৌসুম খেলেছেন তিনি। তবে মাঝে ২ মৌসুম দেশের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলা হয়ে উঠেনি তাঁর। দুই বছরের বিরতিতে দিয়ে এবার অবশ্য বিপিএলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ এই অফ স্পিনার। যদিও ড্রাফট থেকে দল পাননি তিনি। টুর্নামেন্ট শুরুর কয়েকদিন পর তাকে দলে নেয় রাজশাহী। সুযোগ দেয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন সোহাগ গাজী।
তিনি বলেন, ‘ভালো লাগারই কথা, কারণ প্রায় দুই বছর আমি বিপিএল খেলিনি। সেই হিসেবে ধন্যবাদ দিব রাজশাহীর মালিকদের আমাকে সুযোগটা করে দেয়ার জন্য। এসে প্রথম ম্যাচ খেলেছি, অবশ্যই ভালো লাগার মতোই। যদি জিততাম তাহলে আরও ভালো লাগতো।’
বিপিএলে দল পাওয়ার পেছনে জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিকে ধন্যবাদ দিয়ে সোহাগ গাজী বলেন, ‘এটা তো ভালো একটা উদ্যোগ ছিল বিসিবির। আমাদের স্থানীয়দের জন্য একটা টুর্নামেন্ট করেছে। এটা আমাদের সহায়তা করেছে, এনসিএল টি-টোয়েন্টির পর অনেক খেলোয়াড়ই অনেক দলে যুক্ত হয়েছে। আমি মনে করি আমার জন্যও এটা কাজে দিয়েছে। এনসিএল টি-টোয়েন্টি দেখার পর হয়ত মনে করেছে আমাকে দরকার আছে দলে। আমি বলব এটা ভালো উদ্যোগ। এটা যদি চালু রাখে বিসিবি তাহলে আমি মনে করি আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য আরও সুযোগ বাড়বে।’