সাভারের বিকেএসপিরর তিন নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে রানের এভারেস্ট দাঁড়া করিয়েছে মাশরাফি-বিজয়দের আবাহনী।

দুই ওপেনার আনামুল হক বিজয় এবং নাজমুল হাসান শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৯৩ রান সংগ্রহ করেছে আবাহনী। আর আবাহনীর ছুঁড়ে দেওয়া বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শুরুর দিকেই উইকেট হারায় দোলেশ্বর। 

দলীয় ৩৩ রানের মধ্যে ফিরে যান দলের দুই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন তান্না ও লিটন কুমার দাস। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বিপদ কাটানোর চেষ্টা করেন ফজলে মাহমুদ ও মার্শাল আইয়ুব। 

তবে ৩০ ওভারে ২ উইকেটে ২১৭ রানে থাকাকালীন বৃষ্টি নামলে খেলা বন্ধ হয়ে যায় কিছুক্ষণের জন্য। বৃষ্টি থামলে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৫ ওভারে ২৭৮ রান। আবারো খেলতে নামলে পুনরায় বাঁধা দেয় বৃষ্টি। সে সময় ৩ উইকেটে দোলেশ্বরের সংগ্রহ ছিল ২৪৪ রান। 

যার কারণে বৃষ্টি আইনে ম্যাচটি ২০ রানে হারতে হয় তাদের। আর এমন হারে শিরোপার লড়াই থেকে ছিটকে গিয়েছে দোলেশ্বর। ১৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট তাদের। সমান ম্যাচ খেলে শীর্ষে থাকা আবাহনীর সংগ্রহ ২০ পয়েন্ট।

ব্যাটিংয়ে অবশ্য রাব্বি এবং মার্শাল দুইজনই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলো। ৮৭ বলে ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১০০ রান করে রাব্বি আউট হলেও শেষ পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন মার্শাল (৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৮ বলে ১০৮ রান)। আবাহনীর হয়ে ৬২ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান তাসকিন আহমেদ।

এর আগে ব্যাটিংয়ে আবাহনীর ইনিংসে বিজয় ১২৮ এবং শান্ত ১২১ রান করেন। এরপর ভারতীয় রিক্রুট ভানুমা বিহারিও দারুণ ব্যাটিং করেছেন।

এদিন অবশ্য আবাহনীর চারশো ছোঁয়া না হলেও ডিপিএলে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের রেকর্ড গড়েছে আবাহনী। এই রেকর্ডটি গড়ার পথে তারা নিজেদের গড়া আগের রেকর্ডটিকেই টপকে গিয়েছে। 

২০১৬ সালে মোহামেডানের বিপক্ষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৭১ রান করেছিল আবাহনী। এরপরের বছরও ৩৫০'র উপর পুঁজি পেয়েছিলো আবাহনী। ২০১৭ সালের ডিপিএল মৌসুমে ৩৬৬ রানের পুঁজি পেয়েছিলো দলটি।

এই তালিকায় আরও আছে লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জ। ২০১৪ সালে ৬ উইকেটে ৩৫৭ রান করেছিল তারা। আর তার আগের বছর কলাবাগানের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংক করেছিল ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৫৩ রান।