বিকেএসপিতে মাশরাফির তান্ডব

ছবি:

সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আজ সকাল ৯ টায় মুখোমুখি হয়েছে মাশরাফি-নাসিরদের আবাহনী লিমিটেড এবং জাকির-মারুফদের প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এই ম্যাচে শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে আবাহনীর বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ৪ বল আগেই মাত্র ২৪৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে প্রাইম ব্যাংক।
প্রাইম ব্যাংককে গুঁড়িয়ে দেয়ার পেছনে মূলত অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন টাইগার কাপ্তান মাশরাফি বিন মর্তুজা। ৯ ওভার বোলিং করে মাত্র ৪১ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। সাকলাইন সজীব এবং ভারতীয় রিক্রুট মানপ্রিত গণিও এদিন দারুণ বোলিং করেছেন। এই দুই বোলার উভয়েই শিকার করেছেন ২টি উইকেট।
এদিন ম্যাচের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদের মুখে পড়তে হয়েছিলো প্রাইম ব্যাংককে। কেননা স্কোরবোর্ডে মাত্র ২ রান তুলতেই ওপেনার মেহরাব হোসেন জুনিয়রের উইকেটটি তুলে নেন আবাহনীর পেস তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজা।
শুন্য রান করে আনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে মেহরাবকে। বাঁহাতি এই ওপেনার দ্রুত ফিরে গেলে পরবর্তীতে ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন মেহেদি মারুফ এবং নতুন ক্রিজে নামা উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান জাকির হাসান।
আর এই দুই ব্যাটসম্যানের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে বিপদ কাটিয়ে উঠছিলো প্রাইম ব্যাংক। ৪০ রানের জুটি গড়ে তাঁরা দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৪২ রানের মাথায় বোলিংয়ে এসে আবারো আঘাত হানেন টাইগার কাপ্তান মাশরাফি। এবার তাঁর শিকার আরেক ওপেনার মেহেদি মারুফ।

১৫ রান করা মারুফকে একই কায়দায় উইকেটরক্ষক বিজয়ের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান নড়াইল এক্সপ্রেস। ২ উইকেটে ৪২ রান হারানো প্রাইম ব্যাংককে স্বস্তি এনে দেন জাকির হাসান এবং আল-আমিন।
এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে আর উইকেট না হারিয়ে শত রানের কোটা পার করে প্রাইম ব্যাংক। আর এরই সাথে উইকেত রক্ষক জাকির তুলে নেন দুর্দান্ত একটি অর্ধশতক। যদিও এরপর বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি।
৬২ রান করে সাকলাইন সজীবের প্রথম শিকার হয়ে ফিরেছেন। আর এরই সাথে আল-আমিনের সাথে তাঁর ৬৯ রানের জুটিটি ভেঙ্গে গেছে। জাকির ফিরে গেলে আল-আমিনের সাথে ক্রিজে যোগ দেন ভারতীয় রিক্রুট ইউসুফ পাঠান।
সাকলাইন সজীবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরার আগে ২৮ রান করেন ইউসুফ। এরপর ডানহাতি ব্যাটসম্যান নাহিদুল ইসলামও টিকতে পারেননি বেশীক্ষন। ৪ রান করে নাসির হোসেনের বলে নাজমুল হাসান শান্তর তালুবন্দি হয়েছেন তিনি।
তবে ১৮৬ রানে প্রাইম ব্যাংকের ৫ উইকেট পড়ে গেলেও ক্রিজে আশার প্রতীক হয়ে টিকে ছিলেন আল-আমিন। ৮৪ রান করে সেঞ্চুরির পথে এগিয়েও যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সেঞ্চুরি তুলে নিতে পারেননি তিনি। আবাহনীর ভারতীয় বোলার মানপ্রিত গণির বলে উইকেট রক্ষক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন আল-আমিন।
আল-আমিন ফিরে গেলেই শুরু হয় ব্যাটসম্যানদের আশা যাওয়ার মিছিল। শেষের দিকে সাজ্জাদুল হক (১৪) এবং মনির হোসেন (২০) কিছুটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও অল আউট হওয়া ঠেকাতে পারেননি তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ২৪৬ রানেই থামতে হয়েছে প্রাইম ব্যাংককে।
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব- মেহেদি মারুফ, মেহরাব হোসেন জুনিয়র, জাকির হাসান, আল-আমিন, ইউসুফ পাঠান, সাজ্জাদুল হক, নাহিদুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মনির হোসেন (অধিনায়ক), এনামুল হক জুনিয়র, শরিফুল ইসলাম।
আবাহনী লিমিটেড-
আনামুল হক বিজয়, সাইফ হাসান, নাজমুল হাসান শান্ত, মোহাম্মদ মিথুন, নাসির হোসেন (অধিনায়ক), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মানপ্রিত গণি, সানজামুল ইসলাম, সাকলাইন সজীব, মোহাম্মদ রাকিব।