ইমরুলের সেঞ্চুরি মিসের দিনে অঘটনের শিকার আবাহনী

ছবি: হাফ সেঞ্চুরির পর ইমরুল কায়েস, ক্রিকফ্রেঞ্জি

এদিন সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পুড়েছেন ইমরুল। সেঞ্চুরির পথে থাকলেও ৯৪ রান করে ফিরতে হয়েছে তাকে। অবশ্য তার দল জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। আবাহনীর ছুঁড়ে দেয়া ২৩৫ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই করে অগ্রণী ব্যাংক। ইমরানউজ্জামান ও সাদমান ইসলাম মিলে আবাহনীর বোলারদের দেখে শুনে রান তুলতে থাকেন। পাওয়ার প্লে'তে কোন উইকেট না হারিয়ে দলীয় ৫০ পূরণ করে অগ্রণী ব্যাংক।
মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের হাত ধরে ট্রফি আসুক মানুষ এটাই চায়: ইমরুল
২৫ ফেব্রুয়ারি ২৫
দুই ওপেনার মিলে রান তুলতে থাকলেও দলীয় ৫৮ রানে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে বোল্ড হন ইমরান। ৩৫ বলে ৩৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। সঙ্গী হারালেও তিনে নামা ইমরুলকে নিয়ে রান বাড়াতে থাকেন সাদমান। এই জুটিতে দলের রান পৌঁছে যায় শত রানেও। তবে ব্যাক্তিগত ৫০ রানে পা রাখার ঠিক আগে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে সাজঘরে ফেরেন সাদমান।
৭০ বলে ৪৬ রান করে আউট হন তিনি। তবে দুই উইকেট হারানো অগ্রণী ব্যাংককে এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ইমরুল ও অমিত হাসানের জুটিতে দ্রুতই ভালো অবস্থানে পৌঁছে যায় দলটি। আবাহনীর বোলারদের বিপক্ষে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নিজের পঞ্চাশ পূরণ করেন ইমরুল। এমনকি দারুণ ব্যাটিং করে নিজে হাঁটছিলেন সেঞ্চুরির পথে।

কিন্তু শতরান থেকে মাত্র ৬ রান দূরে মাহফুজুর রহমান রাব্বির বলে রাকিবুলকে ক্যাচ দেন এই ব্যাটার। ইমরুল বিদায় নেয়ার খানিক পরই রাব্বিকে সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন অমিতও। ৪৪ রান করে ফেরেন তিনিও। তবে মার্শাল আইয়ুব ও তাইবুর রহমান মিলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। ৬ উইকেটের জয় পায় অগ্রণী ব্যাংক।
আবাহনীকে নাহিদ রানা একাই জিতিয়ে দেবেন, আশাবাদী মোসাদ্দেক
২৫ ফেব্রুয়ারি ২৫
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামা আবাহনী ইনিংসের প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় শাহরিয়ার কমলের উইকেট হারিয়ে। রানের খাতা খোলার আগেই এই ওপেনার ফিরে গেলে হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ঈমন। দুজন মিলে দলের রান ৫০'র ওপর নিয়ে গেলেও ৫১ বলে ২০ রান করে আউট হন শান্ত। তবে আবাহনীতে এবারই নাম লিখানো পারভেজ হোসেন ইমন বড়সড় ইনিংস খেলতে না পারলেও হাফ সেঞ্চুরি করেন প্রথম ম্যাচেই।
৭৪ বলে ৫০ রানেই আউট হন বাঁ-হাতি পারভেজ ইমন। এরপর মিঠুন (৭), মুমিনুল হক (৪০ বলে ২৭) রান করতে না পারলে রীতিমত চাপে পড়ে যায় আকাশী-হলুদ শিবির। শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত হাল না ধরলে হয়ত আবাহনীর স্কোর দু’শর ঘরেও পৌঁছাতো না। আবাহনীর ঘরের ছেলে হয়ে দাঁড়ানো মোসাদ্দেক একদিক আগলে রাখার পাশাপাশি চাপের মুখে রানের চাকা সচল রাখেন ৬৫ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ বাউন্ডারিতে ৭৩ রানের দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে। মোসাদ্দেকের ওই আক্রমলাত্মক ইনিংসটির ওপর ভর করেই আবাহনীর স্কোর গিয়ে ঠেকে ২৩৪-এ।