|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

রাশীদ খান। ২২ গজে ব্যাটসম্যানদের কাছে ত্রাসের অপর নাম। ২০১৫ সালের অক্টোবরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিলো আফগান এই লেগ স্পিন অলরাউন্ডারের। শুরু থেকেই বল হাতে তাঁর উইকেটে আগমণ কিছুটা হলেও কাঁপন ধরাতো ব্যাটসম্যানের বুকে। তাঁর বোলিং অ্যাকশন তাকে একজন সম্ভাবনাপূর্ণ স্পিন তারকা হিসেবে জায়গা করে দিয়েছে।

সম্প্রতি একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে রাশীদ খান তার লেগস্পিনের কিছু কৌশল প্রকাশ করেছেন এবং সমস্ত তরুণ স্পিনারদের জন্য কোচিংয়ের পরামর্শ দিয়েছেন।

রাশীদ খানের মতে লেগস্পিনের পুরোটাই হাতের কব্জি এবং আঙ্গুলের গতিবিধির উপর নির্ভর করে। আর এটাই তাঁর বল স্পিন করার অন্যতম রহস্য। রাশীদ খান বলেন, 'অন্যান্য বোলাররা বল হাতে বেশি রাখেন। তবে আমি আমার হাতের মুঠোয় আমার আঙ্গুলের মাথায় রাখি। এর কারণটি হল এটি আমাকে আরও গতি দেয়। আমি আঙ্গুলের উপর থেকে বল স্ন্যাপ করতে পারি। আমি যতটা বল আমার হাতে ধরে রাখি ততই আমার গতি কমিয়ে দেয়। এটি আমাকে ভাল দৈর্ঘ্যে আরও বোলিংয়ে সহায়তা করে এবং আমি বলের মতো স্পিন করতে পারি।'

সেই সঙ্গে একজন ফাস্ট বোলারের মতো বোলিং ধরণ তিনি অনুসরণ করে থাকেন। একজন পেসার যেমন আগ্রাসী ভূমিকায় উইকেটে বল আছড়ে মারেন ঠিক সেই ভঙ্গিতেই রাশীদ ব্যাটসম্যানের প্রতি বল করেন। তাঁর এই ভূমিকাও তাকে আজ এই অবস্থানে নিয়ে এসে বলে তিনি মনে করেন।

আফগান এই স্পিনার বলেন, 'আমার যদি দ্রুত রানআপ না হয়, আমি বলটি নিয়ে দ্রুত আসতে পারব না। যে কোনও ধীর গতি আমার ছন্দ পতন করে দেবে। এটি একজন ফাস্ট বোলারের মতো ধারণা: যা বল করার সময় ক্রিজে আপনাকে গতি দেয়। ফলশ্রুতিতে আমি ভাল লেন্থে বল ফেলতে পারি।'

তবে রাশীদ খান তাঁর বর্তমান বোলিং নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন। তাঁর লক্ষ্য আরও বোলিংয়ে আরও বেশি উন্নতি লাভ করে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে জায়গা করে নেয়া।

তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, আমি চার বা পাঁচটি বল করি, প্রত্যেকটি ভিন্ন ভিন্ন গ্রিপ এবং রিলিজ পয়েন্টে। আমি আমার লেগ-স্পিনকে আরও বেশি করে উন্নত করার চেষ্টা করছি, যাতে লেগ-স্পিনার হিসেবে আমি সবচেয়ে কার্যকরী বোলার হতে পারি।'