কেপটাউনে 'বল টেম্পারিং' হবে, আগেই ইঙ্গিত পেয়েছিলেন আম্পায়াররা!

ছবি: ছবিঃ গেটি ইমেজ

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা- অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং করা হবে, এমনটা আগে থেকেই অনুমান করেছিলেন সেই ম্যাচের আম্পায়াররা! নিজের আত্মজীবনী ‘গানার: মাই লাইফ ইন ক্রিকেট’-এ এমনটা দাবি করেছেন সেই ম্যাচের টিভি আম্পায়ার ইয়ান গোউল্ড।
সেই সিরিজের শুরু থেকেই অজি ক্রিকেটারদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয় ম্যাচ অফিসিয়ালদের কাছে। এ কারণে প্রথম দুই টেস্ট চলাকালীন তাদের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখতে স্থানীয় ব্রডকাস্টারদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন অফিসিয়ালরা, জানিয়েছেন গুল্ড।

আত্মজীবনীতে গোউল্ড লিখেছেন, "আমি কেপটাউনে যাওয়ার কয়েকদিন আগে গ্যাফানি, যিনি ডারবানে প্রথম টেস্টে তৃতীয় আম্পায়ার ছিলেন এবং পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় ম্যাচে ধর্মসেনার সঙ্গে মাঠের আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন, তিনি আমার মুঠোফোনে একটি বার্তা পাঠান এবং আমাকে সতর্ক করে দেন যে, ব্যাপারগুলো কিছুটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
আম্পায়ারিং দলটির সন্দেহ ছিল যে, বলের কন্ডিশন পরিবর্তন নিয়ে অস্ট্রেলিয়া কিছুটা আগ্রাসীভাবে কাজ করছে। স্বাগতিক ব্রডকাস্টার সুপারস্পোর্টের সঙ্গে আমাদের অনানুষ্ঠানিক কথা হয়েছিল। তাদের বলা হয়েছিল, যদি তাদের কোনো ক্যামেরাকর্মী অস্বাভাবিক কিছু দেখে তাহলে যেন আম্পায়ারদের জানানো হয়।"
ম্যাচটির তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে বল টেম্পারিং ঘটে। টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে, পকেট থেকে হলুদ রঙের এক টুকরো শিরিষ কাগজ বের করে বলে ঘষতে চেয়েছিলেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। পরে আবার সেটি লুকিয়ে রাখেন সাদা ট্রাউজারের ভেতর।
দিনের খেলা শেষে বল টেম্পারিংয়ের চেষ্টার কথা স্বীকার করে নেন দলপতি স্টিভেন স্মিথ ও ব্যানক্রফট। পরবর্তীতে এই দায় কাঁধে নেন ডেভিড ওয়ার্নারও। এমন ঘটনার কারণে স্মিথ-ওয়ার্নারকে এক বছর ও বেনক্রফটকে নয় মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।