২০ বছর পর দেশি কোচ পেল ইংল্যান্ড

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ক্রিস সিলভারউডকে। ইংলিশ এই কোচের হাতে জো রুট, জেসন রয়, ইয়ন মরগানদের তুলে দেয়ার বিষয়টি সোমবার নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
২০১৭-১৮ মৌসুমের অ্যাশেজ থেকে ইংল্যান্ড দলের বোলিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন সিলভারউড। প্রায় ২ বছর বোলিং কোচের পদে দায়িত্ব পালন করার পর এবার প্রধান কোচের পদে দেখা যাবে তাকে। সিলভারউডকে প্রধান কোচের দাায়িত্ব দিয়ে ২০ বছরের অপেক্ষায় ইতি টানল ইংল্যান্ড। দীর্ঘ এই সময় পর স্বদেশি কোনো কোচ পেল ক্রিকেটের জনক দেশটি।
সদ্য শেষ হওয়া অ্যাশেজ দিয়ে ইংল্যান্ডের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছেড়েছেন ট্রেভর বেলিস। ইতোমধ্যে আইপিএলের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

প্রধান কোচের পদে সিলভারউড ছাড়াও অ্যালেক স্টুয়ার্ট এবং গ্যারি কার্স্টেনের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাশলে জাইলস এবং কোচ ডেভেলপমেন্টের প্রধান জন নিলকে নিয়ে গড়া কমিটির সিদ্ধান্তে সিলভারউডকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো।
ইংল্যান্ড ক্রিকেটের দায়িত্বে পেতে কঠিন সাক্ষাৎকার দিতে হয়েছে সিলভারউডকে। সাবেক ক্রিকেটার ও বোর্ডের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাশলে জাইলসের মতে ইংল্যান্ডের কোচের পদে সিলভারউডই সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী।
নতুন কোচ নিয়োগ দেয়ার পর জাইলস বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সিলভারউড এমন একজন যে কিনা আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতি এবং ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত। এ ছাড়া আমাদের দলের দুই অধিনায়ক জো রুট এবং ইয়ন মরগানের সঙ্গেও তার সম্পর্ক বেশ ভালো। আমাদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটা অনেক সাহায্য করবে।’
আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে ইংল্যান্ডের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন শুরু করবেন সিলভারউড। আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই সফরে ৫ টি-টোয়েন্টি ও ২ টেস্ট খেলবে ইংলিশরা। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সিলভারউড বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে ক্রিকেট দলের যতোটা উন্নতি হয়েছে, আমি তা ধরে রাখতে চাই এবং ভবিষ্যতের জন্য আরও ভালো কিছু করতে চাই।’
‘গত দুই মৌসুম ধরে আমি সবার সঙ্গে কাজ করছি। এ সময়টা খুব উপভোগ করেছি। নতুন পরিচয়ে কাজ শুরু করার জন্য মুখিয়ে আছি আমি। আমাদের ক্রিকেটে অনেক প্রতিভা রয়েছে। তাদের যথাযথ বিকাশ ঘটানোই এখন আমার মূল চ্যালেঞ্জ। নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ডের জার্সিতে অভিষেক হয় সিলভারউডের। ২০০২ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে ৬ টেস্ট ও ৭ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। এ ছাড়া কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ারের হয়ে ১৩ এবং মিডলসেক্সের হয়ে ৩ মৌসুম খেলেছেন ইংলিশ এই কোচ।