promotional_ad

টানা তৃতীয় ধবল ধোলাইয়ের মিশনে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ দল, বিসিবি
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


এক ম্যাচ হাতে রেখে এরই মধ্যে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। সুতরাং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগামীকালের অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচটি অনেকটা আনুষ্ঠানিকতা হিসেবেই গণ্য হচ্ছে টাইগারদের জন্য।  


তবে সিরিজ জিতে স্বাগতিকরা নির্ভার থাকলেও ভিন্ন চিত্র সফরকারী জিম্বাবুইয়ানদের শিবিরে। সিরিজ খোয়ালেও এখন হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে খেলতে নামবে তারা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী আগামীকালের ম্যাচটিতে হারলে এই নিয়ে চতুর্থ বারের মত বাংলাদেশের কাছে ধবল ধোলাইয়ের লজ্জায় পড়তে হবে জিম্বাবুয়েকে।


এর আগে ২০০৬ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল জিম্বাবুইয়ানরা। সেবার ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের সবকয়টিতেই হেরেছিল তারা। এরপর ২০১৪ সালেও  বাংলাদেশ সফরে এসে ৫ ম্যাচ সিরিজে পরাজিত হতে হয় সফরকারীদের। 


সর্বশেষ ২০১৬ সালেও একই পরিণতি বরণ করতে হয়েছিল জিম্বাবুয়েকে। সেবছর অবশ্য সিরিজটি হয়েছিল তিন ম্যাচের। এবার টানা তৃতীয়বারের মত সফরকারীদের ধবল ধোলাইয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে টাইগারদের সামনে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামীকাল সেই লক্ষ্যেই খেলতে নামবে তারা নিঃসন্দেহে।    


তবে সিরিজ নির্ধারিত হয়ে যাওয়ায় আগামীকাল বেশ কয়েকটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। উইন্ডিজ সিরিজের আগে অন্তত কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। ধারণা করা যাচ্ছে দুই ম্যাচে শুন্য রানে আউট হওয়া ফজলে রাব্বির পরিবর্তে দলে আসতে পারেন সৌম্য সরকার। 


মিরপুরে অনুষ্ঠিত প্রথম ওয়ানডেতে শুন্য রানে আউট হওয়া রাব্বির প্রতি বড় ধরণের প্রত্যাশা ছিল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। কিন্তু গতকালের ম্যাচটিতেও হতাশ করেছেন তিনি।


টানা দ্বিতীয় বারের মত রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। সুতরাং তাঁর ওপর আগামীকাল আস্থা রাখবে কিনা টিম ম্যানেজমেন্ট সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। 


এদিকে প্রথম ম্যাচে কিছুটা লড়াই করতে পারলেও চট্টগ্রামে একেবারেই দাঁড়াতে পারেনি সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিং মোটামুটি ভাল হলেও বোলিংয়ে যথেষ্ট নিস্প্রভ ছিল তারা। তা নাহলে জিম্বাবুয়ের ২৪৭ রানের লক্ষ্য মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে টপকে যাওয়া সম্ভব হত না বাংলাদেশের পক্ষে। সুতরাং আগামীকালের ম্যাচে জয় পেতে হলে বোলিং নিয়ে যথেষ্ট কাজ যে করতে হবে সফরকারীদের তা বলাই বাহুল্য।  



promotional_ad

পিচ এবং কন্ডিশন- পরিসংখ্যান অনুযায়ী চট্টগ্রামের জহুর আহেমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম থেকে স্পিনাররা কিছুটা সুবিধা পেয়ে থাকলেও গত ম্যাচের উইকেট ছিল অনেকটা পেস এবং ব্যাটিং সহায়ক।


আর এই কারণে বল হাতে সাফল্য পেয়েছিলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ১০ ওভার বোলিং করে ৪৫ রান খরচায় ৩ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। আগামীকালও একই ধরণের মিশ্র উইকেট থাকার সম্ভাবনা রয়েছে চট্টগ্রামে। আর আবহাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী চট্টগ্রামের আকাশ আগামীকাল পরিষ্কারই থাকছে। 


মুখোমুখি-  এই সিরিজের আগে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল চলতি বছর ত্রিদেশীয় সিরিজে। এছাড়া দুই দল সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছিল ২০১৫-১৬ তে। গত ম্যাচটি নিয়ে এই পর্যন্ত ৭১টি ওয়ানডে খেলেছে দুই দল। যেখানে বাংলাদেশ ৪৩টি এবং জিম্বাবুয়ে ২৮টিতে জয় পেয়েছে। 


জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান- এখন পর্যন্ত মোট ১৮টি ওয়ানডেতে খেলে এই মাঠে ১১টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। সর্বশেষ ইংল্যান্ডর বিপক্ষে এই মাঠে ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে পরাজিত হয়েছিল লাল সবুজের দেশটি। আর সর্বশেষ জয় পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৫ সালে। 


স্পটলাইটে থাকবেন যারা- 


মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন (বাংলাদেশ)- 


নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম তিন ম্যাচে খুব বেশি ভাল করতে না পারলেও চলমান সিরিজে দারুণভাবে জ্বলে উঠেছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। মিরপুরে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে দলের বিপদের সময় ব্যাট হাতে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন তিনি।


এরপর গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ ৩টি উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিজের করে নেন কোচের আস্থাভাজন এই অলরাউন্ডার। সুতরাং আগামীকালের ম্যাচটিতেও লাইম লাইটে থাকবেন তিনি।  


ব্র্যান্ডন টেইলর (জিম্বাবুয়ে)-



বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা হলে সর্বদাই এগিয়ে রাখতে হবে জিম্বাবুইয়ান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ব্র্যান্ডন টেইলরকে। কেননা টাইগারদের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৪৯টি ওয়ানডেতে ২৮.৯৩ গড়ে ১৩০২ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি।


যেখানে হাঁকিয়েছেন ২টি শতক এবং ৮টি অর্ধশতক। এই অর্ধশতকের একটি আবার এসেছে গতকালের ম্যাচে। এদিন ৭৩ বলে ৭৫ রানের দারুণ কার্যকরী একটি ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এবার সিরিজের শেষ ম্যাচেও তাঁর দিকে চেয়ে থাকবে জিম্বাবুয়ে দল। 


বাংলাদেশ স্কোয়াড- 


মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, আরিফুল হক, মাহমুদউল্লাহ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাজমুল ইসলাম অপু, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, আবু হায়দার রনি, ইমরুল কায়েস, ফজলে রাব্বি, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।


জিম্বাবুয়ে স্কোয়াড- 


হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), টেন্ডাই চাতারা, এল্টন চিগুম্বুরা, ক্রেইগ আরভিন, কাইল জার্ভিস, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্র্যান্ডন মাভুটা, সলোমন মিরে, পিটার মুর,তারিসাই মুসাকান্দা, রিচার্ড এন গারাভা, জন নাইউম্বু, ব্র্যান্ডন টেইলর (উইকেটরক্ষক), ডোনাল্ড তিরিপানো, চিপাস ঝুয়াও, সিকান্দার রাজা। 



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball