পাঁচ ছয়ই সাইফুদ্দিনের শক্তি
ছবি: মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রোটিয়া হার্ড হিটার ডেভিড মিলার তরুণ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের এক ওভারে টানা পাঁচটি ছয় হাঁকিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট?? সদ্য পা রাখা সাইফুদ্দিনকে বিশ্ব মিডিয়ার শিরোনামে আনার জন্য এটাই যথেষ্ট ছিল। পচেফস্ট্রুমের সেই অভিজ্ঞতা এখনও নাড়া দেয় তরুণ সাইফুদ্দিনকে।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম ম্যাচ সেরা পারফর্মেন্সের পরও সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন শুনতে হয়েছে তাঁকে। তবে এতদিনে মানসিক ধাক্কার সাথে মানিয়ে নিতে পেরেছেন তিনি। শোককে শক্তিতে রূপান্তর করতে পেরেছেন এই অলরাউন্ডার। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বল হাতে ১০ ওভারের কোটা পূর্ণ করে মাত্র ৪৫ রান খরচায় নিয়েছেন তিন উইকেট, যার দুটি উইকেটই ম্যাচের মোড় ঘুরাতে সাহায্য করেছে। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন,

'সেই ম্যাচ মনে থাকবে যতদিন ক্রিকেট খেলব। দেখুন, সফল হতে হলে হোঁচট খেতেই হবে। আমার মা বলত, একটা ছোট বাচ্চা যখন হাঁটতে শিখে, তখন বার বার হোঁচট খায়, তাই বলে কি সে হাঁটা বন্ধ করে দেয়? আমি মার খাব, সেখান থেকেই শিখব। আমি বয়স ভিত্তিক দল থেকেই ডেথ ওভারে বল করতাম। তখন আমি অভিজ্ঞ ছিলাম, সেই পর্যায়ে। হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরুতে সমস্যা হয়েছে, নিজেকে মেলে ধরতে পারি নি। আমি মুস্তাফিজের সাথে কথা বলি, সে অনেক অভিজ্ঞ বোলার। কিভাবে কাজ করলে সফল হওয়া যায় এইসব নিয়ে। আমি ওইসব চেষ্টা করেছি, আজ প্রায় সফল হয়েছি।'
জিম্বাবুয়ে সিরিজে দলে ফেরার পর থেকেই দারুণ ফর্মে আছেন সাইফুদ্দিন। প্রথম ম্যাচে দলের বিপদে গুরুত্বপূর্ণ ৫০ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বল হাতে মন জয় করেছেন তিনি। ছোট্ট ক্যারিয়ারের শুরুতে এই প্রথম ধারাবাহিক পারফর্মেন্সের স্বাদ পেয়েছেন ২১ বছর বয়সী সাইফুদ্দিন।
আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশ এ দলের হয়ে তিনটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচে মোট নয় উইকেট শিকার করেছিলেন, যার সুবাদে দুয়ার খুলেছে জাতীয় দলের। এর আগে সর্ব এসে জানুয়ারিতে খেলেছিলেন জাতীয় দলের জার্সিতে। বলা চলে, সাইফুদ্দিন খুব দ্রুতই ক্রিকেটের অনিশ্চয়তার সাথে পরিচিত হয়েছেন,
'হ্যাঁ অবশ্যই, অনেক ভাল লাগছে। আসলে ক্রিকেট খেলাটা এমনই। বাইরে থাকব, আবার দলে ফিরব। আবার ভাল খেলব। আবার দলের বাইরে নিজেকে আবিস্কার করব, হয়তো ইনজুরি কিংবা বাজে ফর্মের কারণে। এইসব মাথায় নিয়েই আসলে আমরা ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি।'