মানসিকভাবে টিকে থাকার লড়াইয়ে মুমিনুলরা

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
করোনাকালে মানসিকভাবে শক্ত থাকাটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ক্রিকেটারদের জন্য। দীর্ঘ দিন খেলার বাইরে থাকায় এরই মধ্যে মানসিক অবসাদ গ্রাস করা শুরু করেছে তাদের। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুক হকও।
দেশের প্রথম সারির বাংলা দৈনিক মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজেদের বর্তমান পরিস্থিতির একটি চিত্র তুলে ধরেছেন মুমিনুল। বাসায় অনেকটা ঘরবন্দী থাকা এই ক্রিকেটার যে যারপরনাই হতাশ এবং বিধ্বস্ত সেটিও উঠে এসেছে তাঁর কণ্ঠে। মুমিনুলের বিশ্বাস বাকি ক্রিকেটাররাও অনেকটা একই পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন।

তিনি বলেন, 'গত মাসের ১৫ তারিখ থেকেই অপেক্ষায় আছি। মনে হচ্ছে আজই হয়তো মাঠে যেতে পারবো। কিন্তু কী আর করার! করোনার সংক্রামণ কমেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এমন অবস্থায় মাঠে যাই কী করে। সত্যি কথা বলতে কী এখন আমাদের মানসিকভাবে টিকে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ। ফিটনেস, স্কিল, এসব বিষয় মাঠে কিছু দিন সময় দিলে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু মনোজগতে যে প্রভাব ফেলছে তা থেকে বের হতে অনেক সময় লাগবে। এই মুহূর্তে বিসিবি মনোবিদ নিয়োগের যে চিন্তা করেছে তা খুবই ভালো। আমিও চাইবো মনোবিদের সঙ্গে সেশন করতে। এটি ভালো হবে আমাদের জন্য।'
পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে ফিটনেস এবং স্কিল ধরে রাখার ব্যাপারে সমস্যা দেখছেন না মুমিনুল। তাঁর মতে মাঠে নামলে একটা সময় ফিটনেস ঠিকই ফিরে পাবেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে ঘুরে দাঁড়ানো যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হবে বলে বিশ্বাস টেস্ট স্পেশালিষ্ট খ্যাত এই ব্যাটসম্যান।
মুমিনুল বলেন, 'দেখুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট শুরু করেছে। কিন্তু এখনো অন্য দেশগুলো শুরু করতে পারেনি। এমন নয় যে অন্য দেশগুলো খেলছে আর আমরাই কেবল বসে আছি। তাই যারাই ক্রিকেট শুরু করবে নতুনভাবে করতে হবে। আমাদের প্রতিটি ক্রিকেটারের মানসিকতা এমন হতে হবে যেন নতুন করে শুরু করছে। ফিটনেস ও স্কিল এগুলো আমাদের অভ্যাসের ব্যাপার। মাঠে নামলে হয়তো সময় লাগবে। কিন্তু ঠিকই ফিরে পাবো নিজেদের। কিন্তু আপনি যদি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তাহলে আপনার সময় লাগবে অনেক বেশি।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের করণীয় সম্পর্কেও পাথেয় দিয়েছেন মুমিনুল। নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিয়ে সুদিনের অপেক্ষায় দিন গোনার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর ভাষ্যমতে, 'এটি আসলে ক্রিকেটারদের নিজের ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি সিনিয়র ক্রিকেটারদের কথা বলেন তাহলে সেটি ভিন্ন। কারণ তারা প্রফেশনাল ক্রিকেটে ১০/১৫ বছর কাটিয়েছে। প্রফেশনাল ক্রিকেটাদের সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। সবার যে প্রভাব পড়বে তা নয়। তবে সতর্ক থাকতে হবে। নেগেটিভ চিন্তা করা যাবে না। মনে করা যাবে না সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।’